তানোরে শুভসংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ
রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া গ্রামের সুমতি দাসের বয়স ৬৫ বছর। স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। বৃদ্ধ বয়সে কখনো ছেলের বাড়ি, কখনো মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। অভাবের সংসারে নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে জীবন কাটান। শীতের দিনে একটি কম্বল চেয়ে অনেকের কাছে গিয়েছিলেন, কিন্তু কেউ তাকে দেয়নি। অবশেষে বসুন্ধরা শুভসংঘের তানোর উপজেলা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে তিনি একটি কম্বল পেয়েছেন।
সুমতি দাস বলেন, “কম্বলটি পেয়ে আমি অনেক উপকৃত হলাম। রাতে কম্বলটি গায়ে দিয়ে ঘুমাবো।” হঠাৎপাড়া গ্রামের রুপজান বলেন, “অনেক ঠান্ডা। কম্বলটি আমার খুব দরকার ছিল। তোমরা আমাকে দিলে। আল্লাহ তোমাদের ভালো করবে।” সুমতি, রুপজান ছাড়াও মহিফুল, রেজিয়া, আতরজান, শহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকেই শুভসংঘের কম্বল বিতরণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “শুভসংঘ সদস্যরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করে আমাদের কম্বল দিয়ে সহায়তা করেছে। আমরা তাদের অনেক দোয়া করছি।”
তানোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহীর তানোর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এলাকার অসহায় ১০০ জনকে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান।
শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজান, তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম, তানোর থানার মোড়ের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম নান্টু, শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ও কালের কণ্ঠ তানোর প্রতিনিধি টিপু সুলতান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম শাহ। এছাড়া শুভসংঘের কমিটির সকল সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “এলাকার অসহায় লোকজনের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল বিতরণের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। আমরা শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সঙ্গে একত্রিত হয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা করব।” তানোর থানার ওসি বলেন, “বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগ তানোরবাসীর জন্য অত্যন্ত উপকারী।”
বসুন্ধরা শুভসংঘ তানোর উপজেলা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, “শুভ কাজে সবার পাশে” স্লোগান নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমি মনে করি, তানোরের বিত্তবানরা যদি আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। আমরা সব সময় ভালো কাজে সঙ্গে থাকব।