ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে কালিঘাট স্লুইজ গেট খুলে দেওয়া হলো

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ডুমুরিয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে অবশেষে খুলে দেওয়া হলো কালিঘাট স্লুইজ গেটের জলকপাট। একই সঙ্গে ময়ুর নদীর শাখা-খালগুলো সচল করতে শুরু হয়েছে কচুরিপানা ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ কার্যক্রম।

রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ডুমুরিয়া, রংপুর, রুদাঘরা, রঘুনাথপুর, লতা ও ফুলতলা এলাকা থেকে হাজারো মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন। খালের কচুরিপানা, অবৈধ নেট-পাটা ও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল।

পানি নিস্কাশন কার্যক্রম তদারকি করেন ডুমুরিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মো. আতিকুর রহমান, এবং শৈলমারী ও কালিঘাট স্লুইজ গেট ও তৎসংলগ্ন নদী-খালের পানি নিস্কাশন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, পানি বন্দি লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাগবেই মূল লক্ষ্য। এরই অংশ হিসেবে ময়ুর নদীকে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছরও এ পথ দিয়েই পানি নিস্কাশন করা হয়েছিল। তবে শৈলমারী নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর জলাবদ্ধতার সমস্যা বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে জরুরি ভিত্তিতে শৈলমারী নদী থেকে পলি অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে এক মাস আগে। এছাড়া চলতি বছরের ২ জুন থেকে দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাব-মারসিবল পাম্প চালু রয়েছে। তবুও অতিবৃষ্টির কারণে ডুমুরিয়া ও ফুলতলার নিম্নাঞ্চল ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় পড়ে কয়েক লাখ মানুষ প্রায় দু’মাস ধরে পানিবন্দি কষ্টে আছেন।

কমিটির সদস্য অধ্যাপক জিএম আমানউল্লাহ জানান, কালিঘাট স্লুইজ গেট থেকে লতা ব্রিজ পর্যন্ত কচুরিপানা সরানো হচ্ছে। এতে পানি প্রবাহ বেড়েছে। দুই দিনের মধ্যে খালের সব অবৈধ নেট-পাটা সরিয়ে ফেলা হবে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মো. আতিকুর রহমান বলেন, “দিনভর কচুরিপানা অপসারণের পর বিকালে কালিঘাট স্লুইজ গেট আংশিকভাবে খোলা হয়েছে। গেট দিয়ে টানা ২৪ ঘণ্টা পানি নিস্কাশন চলবে। পাশাপাশি আগামী দুদিন নেট-পাটা উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।”

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
৫২২ বার পড়া হয়েছে

ডুমুরিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে কালিঘাট স্লুইজ গেট খুলে দেওয়া হলো

আপডেট সময় ১২:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

খুলনার ডুমুরিয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে অবশেষে খুলে দেওয়া হলো কালিঘাট স্লুইজ গেটের জলকপাট। একই সঙ্গে ময়ুর নদীর শাখা-খালগুলো সচল করতে শুরু হয়েছে কচুরিপানা ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ কার্যক্রম।

রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ডুমুরিয়া, রংপুর, রুদাঘরা, রঘুনাথপুর, লতা ও ফুলতলা এলাকা থেকে হাজারো মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন। খালের কচুরিপানা, অবৈধ নেট-পাটা ও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল।

পানি নিস্কাশন কার্যক্রম তদারকি করেন ডুমুরিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মো. আতিকুর রহমান, এবং শৈলমারী ও কালিঘাট স্লুইজ গেট ও তৎসংলগ্ন নদী-খালের পানি নিস্কাশন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, পানি বন্দি লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাগবেই মূল লক্ষ্য। এরই অংশ হিসেবে ময়ুর নদীকে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছরও এ পথ দিয়েই পানি নিস্কাশন করা হয়েছিল। তবে শৈলমারী নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর জলাবদ্ধতার সমস্যা বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে জরুরি ভিত্তিতে শৈলমারী নদী থেকে পলি অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে এক মাস আগে। এছাড়া চলতি বছরের ২ জুন থেকে দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাব-মারসিবল পাম্প চালু রয়েছে। তবুও অতিবৃষ্টির কারণে ডুমুরিয়া ও ফুলতলার নিম্নাঞ্চল ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় পড়ে কয়েক লাখ মানুষ প্রায় দু’মাস ধরে পানিবন্দি কষ্টে আছেন।

কমিটির সদস্য অধ্যাপক জিএম আমানউল্লাহ জানান, কালিঘাট স্লুইজ গেট থেকে লতা ব্রিজ পর্যন্ত কচুরিপানা সরানো হচ্ছে। এতে পানি প্রবাহ বেড়েছে। দুই দিনের মধ্যে খালের সব অবৈধ নেট-পাটা সরিয়ে ফেলা হবে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মো. আতিকুর রহমান বলেন, “দিনভর কচুরিপানা অপসারণের পর বিকালে কালিঘাট স্লুইজ গেট আংশিকভাবে খোলা হয়েছে। গেট দিয়ে টানা ২৪ ঘণ্টা পানি নিস্কাশন চলবে। পাশাপাশি আগামী দুদিন নেট-পাটা উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।”