ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন পিনাকী

চেকপোস্ট ডেস্ক::

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিককে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে না নিয়ে এ আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক অভিযোগপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ আমলে গ্রহণ না করে পিনাকীসহ দুজনকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারী নামের অন্য দুজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিটিটিসি উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন পিনাকীসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপপ্রেসসচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর নজরে আসে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। ওই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মোবাইলফোন জব্দ করে। সিটিটিসির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের উপপরিদর্শক কে এম আবদুল্লাহ হিল মারুফ মামলায় অভিযোগ করেন, আসামি মফিজুর রহমান তার ভুয়া ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
৫১৫ বার পড়া হয়েছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন পিনাকী

আপডেট সময় ১২:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিককে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে না নিয়ে এ আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক অভিযোগপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ আমলে গ্রহণ না করে পিনাকীসহ দুজনকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারী নামের অন্য দুজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিটিটিসি উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন পিনাকীসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপপ্রেসসচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর নজরে আসে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। ওই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মোবাইলফোন জব্দ করে। সিটিটিসির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের উপপরিদর্শক কে এম আবদুল্লাহ হিল মারুফ মামলায় অভিযোগ করেন, আসামি মফিজুর রহমান তার ভুয়া ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে।