বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে কৃষকদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছেই, তবে নিরাপত্তার দিক থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবি টহল জোরদার করেছে। সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি সাধারণ জনগণকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, শুধুমাত্র কৃষকরা তাদের জমিতে কাজ করছেন। বিজিবি এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা আয়োজন করে জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে, যা অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয়দের মতে, সীমান্তে উত্তেজনা কাটানোর পর তাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ এখন শিথিল হয়েছে এবং কৃষকরা মাঠে কাজ করছেন। তবে উত্তেজনার মধ্যে কিছু কৃষকের ফসল নষ্ট হওয়ায় সীমান্তের জিরো লাইনে কৃষক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারছে না, এ ব্যাপারে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এই পদক্ষেপে স্থানীয়রা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি এখন শান্ত এবং কৃষকরা তাদের মাঠে কাজ করতে কোনো বাধা অনুভব করছেন না। তবে সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিজিবি সদস্যরা বহিরাগতদের প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন, যাতে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি না হয়।
এছাড়া, গত শনিবার ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভারতীয় নাগরিক এবং বিএসএফ সদস্যরা ককটেল, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও পাথর নিক্ষেপ করেন, যাতে বিজিবি সদস্যসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হন। পরবর্তীতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করা হয় এবং বিএসএফ ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।