চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় অর্ডার বাড়ছে
গাজীপুর কেন্দ্রীক গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ অব্যাহত থাকলেও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক পোশাক কারখানাগুলোতে বেশ ভালো পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এমন খবর এসেছে। ঢাকার কারখানাগুলোর অস্থিরতা এবং শ্রমিক আন্দোলনের কারণে বিদেশী বায়াররা এখন চট্টগ্রামকেন্দ্রিক কারখানাগুলোর দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোর অর্ডার বেড়েছে।
চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোর উৎপাদন এবং রফতানি কার্যক্রমের গতিতে গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। বিশেষ করে, ক্লিফটন গ্রুপের কারখানাগুলোর উৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া, কেডিএস, ফোর এইচ, পেসিফিক, এশিয়ান গ্রুপের কারখানাগুলোতেও একই ধরনের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে চট্টগ্রামের ৪৪৬টি পোশাক কারখানায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে।
এটি একদিকে চট্টগ্রামকে বায়ারদের জন্য আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে, অন্যদিকে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ঢাকার কিছু কারখানা সময়মতো উৎপাদন করতে পারছে না এবং এর ফলে অনেক মালিক চট্টগ্রামে সাব-কন্ট্রাক্টে পণ্য উৎপাদন করছেন। চট্টগ্রামের কারখানাগুলোর সুবিধা হচ্ছে এখানকার পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং এই অঞ্চলের ফ্যাক্টরিগুলোর মধ্যে কমপ্লায়েন্স বিষয়ক নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুসৃত হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শ্রমিকরা পাওনা পরিশোধ না করা এবং নোটিশ ছাড়া কারখানা বন্ধ করে দেয়ার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে দুই ঘণ্টার মধ্যে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এভাবে গাজীপুর এবং ঢাকার অস্থির পরিস্থিতির তুলনায় চট্টগ্রামের পোশাক শিল্পে এখনও উন্নতি দেখা যাচ্ছে, যা দেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক সূচনা। তবে, চট্টগ্রামের পোশাক শিল্পের এই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সেখানে পরিবেশ ও শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় আরও সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে।