গর্ভবর্তী মহিলাকে মারধোর করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
তাহিরপুর উপজেলায় আড়াই মাসের গর্ভবর্তী এক মহিলাকে মারধর করে আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকালে শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামে। ভিকটিম হাওয়া বেগম (৩২), হোসাইন মিয়ার স্ত্রী, রবিবার সকালে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
ভিকটিম হাওয়া বেগম জানান, তার শ্বশুরের জন্য একটি চারা ক্ষেত দিয়েছেন, যা শরিফ মিয়া (১৯) এবং আকাশ মিয়া (২২) নামে দুই যুবক কেটে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর শ্বশুর রেগে গিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করেন। এরপর শরিফ ও আকাশ তার শ্বাশুড়ি এবং তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ঘরে এসে বাঁশ দিয়ে তার পিঠ ও হাতে আঘাত করে। হাওয়া বেগম বলেন, আশপাশের কেউ না আসলে তারা তাকে প্রাণে মেরে ফেলত। মারধরের পর তারা তার ঘর থেকে ব্রিফকেসে রাখা আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
হাওয়া বেগমের স্বামী হোসাইন মিয়া জানান, ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন এবং খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন তার স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছেন, এবং শ্বাশুড়ি বেহুশ হয়ে ঘরে পড়ে আছেন। এই সুযোগে হামলাকারীরা ঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ঘরের বিছানাপত্র এলোমেলো ছিল এবং ব্রিফকেসে রাখা কাপড় চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ হয়নি। তবে শরিফ মিয়ার চাচী হাবিবা বেগম দাবি করেন, আকাশ মিয়া এবং শরিফ মিয়ার মাথায় সমস্যা আছে। তিনি জানান, তারা হাওয়া বেগমকে মারধর করেছে, কিন্তু টাকা বা স্বর্ণালংকার নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যে।
তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের জান্টু মেম্বার জানান, মারধরের ঘটনা সহ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। তিনি জানান, আকাশ ও শরিফ মিয়া নেশাখোর এবং উগ্রপন্থী, যারা এলাকার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুরাদ বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং এলাকা থেকে বাইরে থাকার কারণে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।