ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনার ডুমুরিয়ায় পানিবন্দি ৪ মন্দিরে হচ্ছে না দুর্গাপূজা, ৮টিতে ভক্তরা যাবেন ডিঙি চড়ে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: সংগৃহীত

দেখলে মনে হবে কোনো নৌকা ঘাট। কিন্তু আসলে এটি একটি পূজামণ্ডপ। দীর্ঘ দুই মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃঞ্চনগর সার্বজনীন হরিগুরু পুজা মন্দির। নিয়মিত পূজা-অর্চনা বিঘ্নিত হচ্ছে সেখানে। শুধু এই মন্দির নয়, আরও ৩টি মন্দির একই অবস্থায় থাকায় এ বছর সেখানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

তবে পানি বন্দি পরিস্থিতি সত্ত্বেও ৮টি মন্দিরে পূজা হবে। ভক্তরা ডিঙি নৌকায় চড়ে প্রতিমা দর্শনে যাবেন। প্রায় দুই মাস ধরে বিল ডাকাতিয়া ও আশপাশের এলাকায় এ জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। কৃঞ্চনগর, মুজারঘুটা, বারানসি ও বটভেড়া গ্রামের বহু বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট এখনো হাঁটু পানিতে ডুবে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃঞ্চপদ মণ্ডল জানান, “মন্দির চত্বরে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছিল। ধীরে ধীরে পানি কমছে, তবে এখনও দেড়-দুই ফুট পানি আছে। এ অবস্থায় কৃঞ্চনগর হরি মন্দিরে পূজা করা সম্ভব নয়।”

এদিকে কৃঞ্চনগরের মধ্যপাড়া সার্বজনীন মন্দিরের কর্মীরা চত্বর উঁচু করতে বালি ফেলছেন। তবে সেখানেও চারপাশে পানিবেষ্টিত পরিবেশ। স্থানীয় দিপক নামের এক কারিগর জানান, এবারের দুর্গাপূজার আনন্দ তাদের জীবনে পানিতে মিশে গেছে। ঘর থেকে বের হলেই শুধু পানি দেখা যায়।

ডুমুরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ২১২টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ছিল ২০০টি। তবে পানিবন্দি অবস্থায় কৃঞ্চনগরের একটি ও মুজারঘুটার তিনটি মন্দিরে পূজা হচ্ছে না।

উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ কুণ্ডু টুটুল জানান, “পানি বন্দির কারণে কিছু এলাকায় পূজা হচ্ছে না। তবে এ বছর মন্দিরের সংখ্যা বেড়েছে। দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫৮৫ বার পড়া হয়েছে

খুলনার ডুমুরিয়ায় পানিবন্দি ৪ মন্দিরে হচ্ছে না দুর্গাপূজা, ৮টিতে ভক্তরা যাবেন ডিঙি চড়ে

আপডেট সময় ০৫:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেখলে মনে হবে কোনো নৌকা ঘাট। কিন্তু আসলে এটি একটি পূজামণ্ডপ। দীর্ঘ দুই মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃঞ্চনগর সার্বজনীন হরিগুরু পুজা মন্দির। নিয়মিত পূজা-অর্চনা বিঘ্নিত হচ্ছে সেখানে। শুধু এই মন্দির নয়, আরও ৩টি মন্দির একই অবস্থায় থাকায় এ বছর সেখানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

তবে পানি বন্দি পরিস্থিতি সত্ত্বেও ৮টি মন্দিরে পূজা হবে। ভক্তরা ডিঙি নৌকায় চড়ে প্রতিমা দর্শনে যাবেন। প্রায় দুই মাস ধরে বিল ডাকাতিয়া ও আশপাশের এলাকায় এ জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। কৃঞ্চনগর, মুজারঘুটা, বারানসি ও বটভেড়া গ্রামের বহু বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট এখনো হাঁটু পানিতে ডুবে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃঞ্চপদ মণ্ডল জানান, “মন্দির চত্বরে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছিল। ধীরে ধীরে পানি কমছে, তবে এখনও দেড়-দুই ফুট পানি আছে। এ অবস্থায় কৃঞ্চনগর হরি মন্দিরে পূজা করা সম্ভব নয়।”

এদিকে কৃঞ্চনগরের মধ্যপাড়া সার্বজনীন মন্দিরের কর্মীরা চত্বর উঁচু করতে বালি ফেলছেন। তবে সেখানেও চারপাশে পানিবেষ্টিত পরিবেশ। স্থানীয় দিপক নামের এক কারিগর জানান, এবারের দুর্গাপূজার আনন্দ তাদের জীবনে পানিতে মিশে গেছে। ঘর থেকে বের হলেই শুধু পানি দেখা যায়।

ডুমুরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ২১২টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ছিল ২০০টি। তবে পানিবন্দি অবস্থায় কৃঞ্চনগরের একটি ও মুজারঘুটার তিনটি মন্দিরে পূজা হচ্ছে না।

উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ কুণ্ডু টুটুল জানান, “পানি বন্দির কারণে কিছু এলাকায় পূজা হচ্ছে না। তবে এ বছর মন্দিরের সংখ্যা বেড়েছে। দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”