খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সদর থানা ওসিকে অপসারণের দাবিতে বিএনপির আলটিমেটাম
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে খুলনা মহানগরীর সকল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপসারণের দাবি জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। বিশেষ করে খুলনা সদর থানার আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদর থানার ওসি মুনীর উল গিয়াসকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। দাবি পূরণ না হলে খুলনা জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও এবং খুলনা অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতারা।
আজ, ২২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে খুলনার সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা।
খুলনার আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, বিশেষ করে ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমিন মোল্লা বোয়িং ও ২১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মানিক হাওলাদার হত্যাকাণ্ড এবং ২১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিন ও ছাত্রদল কর্মী নওফেলের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, গত পাঁচ মাসে পুলিশের নির্লিপ্ততার কারণে খুলনায় একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। গত চার মাসে ১০টি হত্যাকাণ্ড হলেও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, খুলনার অলিগলিতে মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটেছে, ডাকাতি, ছিনতাই, এবং অন্যান্য অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেও পুলিশ তা দমনে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখছে না।
বিএনপি নেতারা বলেন, ২১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মানিক হাওলাদার হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তা আমলে নেয়নি। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার পর মামলা নিলেও অপরাধীদের যথাযথভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। একজনকে আটক করার পর অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের পথ সুগম করেছে।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে ব্যস্ত। বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এতে খুলনার রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিক সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা চরমে পৌঁছেছে।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু,মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, স,ম,আবুর রহমান,অ্যাড: নুরুল হাসান রুবা, খান জুলফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু,আবুল কালাম জিয়া,বদরুল আনাম খান,তৈয়বুর রহমান,মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, গাজী তফসির আহমেদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, একরামুল হক হেলাল,মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ,এনামুল হক সজল,কেএম হুমায়ুন কবির, হাফিজুর রহমান মনি,এ্যাড: মোহাম্মদ আলী বাবু,মো: মুরশিদ কামাল,কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফকরুল আলম, সুলতান মাহমুদ, রুবায়েত হোসেন বাবু,আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, অ্যাড: মাসুম রশিদ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাহিনুল ইসলাম পাখি, এ্যাড: চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার,একরামুল কবীর মিল্টন, নাজির উদ্দিন নান্নু,আহসান উল্লাহ বুলবুল,শেখ জামাল উদ্দিন,আফসার উদ্দিন,আনসার আলী,নাসির খান,আব্দুস সালাম,আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু,আব্দুর রহমান ডিনো প্রমুখ।
বক্তারা পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বলেন, পুলিশ প্রশাসনের এই ব্যর্থতা জনগণের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।