বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা ১০টি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ মামলা করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতি ছিল না।
আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি ও দারুস সালাম থানায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় এফআইআরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল বা চার্জশিটে তার নাম ঢুকানো হয়। দীর্ঘদিন থেকে হাইকোর্টের আদেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১০ মামলা বাতিল করলেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। মামলাটি করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।