ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষুদ্র – মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের মাঝে সাবকন্ট্রাকটিং সংযোগ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মোঃ রবিউল হোসেন খান ; খুলনা::

ক্রয়কারী বৃহৎ শিল্পের সাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাবকন্ট্রাকটিং সংযোগ বাস্থবায়ন এবং উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ সন্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প (বিসিক) এর দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিভাগ এ সেমিনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিসিবি এর চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ না হলে বৃহৎ শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বড় শিল্পের যন্ত্রাংশ ও পন্য উৎপাদনে ব্যবহ্নত ছোট পন্য গুলো উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মুল্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, উপরন্ত তরুণ যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। শিল্প ও বন্দর নগরী হিসেবে খুলনার উক্তারা সাবকন্ট্রাকটিং এ পিছিয়ে থাকতে পারেন না। বিসিক এক্ষেত্রে বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বিসিক দক্ষতার কারনেই এক সময় খুলনার হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিকাশ তরাম্বিত এবং বৃহৎ শিল্প খাতে তাদের আবশ্যকতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। কেবল সময়ের সাথে নিজেদের সৃজনশীল ও দক্ষ হয়ে ওঠা প্রয়োজন। সরকারও এক্ষেত্রে আন্তরিক হওয়ায় দেশিয় শিল্প বিকাশের জন্য এবং স্থানীয় পন্য ক্রয়কে উদ্ধুদ্ধ করতে সরকারীভাবে পিপিআর সংযোজন করেছে।

সেমিনারে জানানো হয় দেশের বিদ্যমান বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর ব্যবহ্নত খুচরা যন্ত্রাংশের সিংহভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যায় হয় এবং স্থানীয় শিল্প বিকাশে বিঘ্ন ও দেশজ শিল্পের কারিগরী দক্ষতা অর্জন বাধাগ্রস্থ হয়। এই অবস্থার পরিবর্তনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাথে বৃহৎ শিল্পের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পের মাঝে পরিপুরক সম্পর্ক তৈরীতে বিসিক কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৭৩৫ কোটি টাকা সমমুল্যের পন্যর কার্যাদেশ পেয়েছে। বিসিকে তালিকা ভুক্ত সাবকনক্ট্রাকটিং প্রতিষ্ঠান ১৪৬৫ টি ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩২৫২ টি। এ পর্যন্ত ৩৮২০ ধরনের যন্ত্রনাংশ চিহ্নিত করে সাবকন্ট্রাকটিং তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবকন্ট্রাকটিং এর ফলে বৃহৎ শিল্পের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ কম সময়ে ও প্রতিযোগীতা মুলক দরে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।দেশের আমদানি নির্ভরতা কমেছে এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তদের কারিগরী দক্ষতা উন্নয়ন ও স্থানীয় প্রযুক্তি বিকাশ হচ্ছে।

বিসিক খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিসিকের পরিচালক( প্রশাসন) কাজী মাহবুবুর রশীদ, পরিচালক (দক্ষতা ও প্রযুক্তি) মো: সহিদুজ্জামান, আঞ্চলিক পরিচালক (খুলনা) মানছুরুল করিম ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। বিসিকের জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ মহাব্যবস্থাপক সাকলাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসিকের উপ মহাব্যাবস্থাপক( প্রযুক্তি) প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার হোসেন। সেমিনারে প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অংশ নেন। বিকালে একই স্থানে খুলনা জোনের লবন মিল মালিকদের সাথে বিসিকের অর্ধবার্ষিকী পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৬ বার পড়া হয়েছে

ক্ষুদ্র – মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের মাঝে সাবকন্ট্রাকটিং সংযোগ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

আপডেট সময় ০৯:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্রয়কারী বৃহৎ শিল্পের সাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাবকন্ট্রাকটিং সংযোগ বাস্থবায়ন এবং উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ সন্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প (বিসিক) এর দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিভাগ এ সেমিনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিসিবি এর চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ না হলে বৃহৎ শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বড় শিল্পের যন্ত্রাংশ ও পন্য উৎপাদনে ব্যবহ্নত ছোট পন্য গুলো উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মুল্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, উপরন্ত তরুণ যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। শিল্প ও বন্দর নগরী হিসেবে খুলনার উক্তারা সাবকন্ট্রাকটিং এ পিছিয়ে থাকতে পারেন না। বিসিক এক্ষেত্রে বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বিসিক দক্ষতার কারনেই এক সময় খুলনার হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিকাশ তরাম্বিত এবং বৃহৎ শিল্প খাতে তাদের আবশ্যকতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। কেবল সময়ের সাথে নিজেদের সৃজনশীল ও দক্ষ হয়ে ওঠা প্রয়োজন। সরকারও এক্ষেত্রে আন্তরিক হওয়ায় দেশিয় শিল্প বিকাশের জন্য এবং স্থানীয় পন্য ক্রয়কে উদ্ধুদ্ধ করতে সরকারীভাবে পিপিআর সংযোজন করেছে।

সেমিনারে জানানো হয় দেশের বিদ্যমান বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর ব্যবহ্নত খুচরা যন্ত্রাংশের সিংহভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যায় হয় এবং স্থানীয় শিল্প বিকাশে বিঘ্ন ও দেশজ শিল্পের কারিগরী দক্ষতা অর্জন বাধাগ্রস্থ হয়। এই অবস্থার পরিবর্তনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাথে বৃহৎ শিল্পের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পের মাঝে পরিপুরক সম্পর্ক তৈরীতে বিসিক কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৭৩৫ কোটি টাকা সমমুল্যের পন্যর কার্যাদেশ পেয়েছে। বিসিকে তালিকা ভুক্ত সাবকনক্ট্রাকটিং প্রতিষ্ঠান ১৪৬৫ টি ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩২৫২ টি। এ পর্যন্ত ৩৮২০ ধরনের যন্ত্রনাংশ চিহ্নিত করে সাবকন্ট্রাকটিং তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবকন্ট্রাকটিং এর ফলে বৃহৎ শিল্পের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ কম সময়ে ও প্রতিযোগীতা মুলক দরে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।দেশের আমদানি নির্ভরতা কমেছে এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তদের কারিগরী দক্ষতা উন্নয়ন ও স্থানীয় প্রযুক্তি বিকাশ হচ্ছে।

বিসিক খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিসিকের পরিচালক( প্রশাসন) কাজী মাহবুবুর রশীদ, পরিচালক (দক্ষতা ও প্রযুক্তি) মো: সহিদুজ্জামান, আঞ্চলিক পরিচালক (খুলনা) মানছুরুল করিম ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। বিসিকের জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ মহাব্যবস্থাপক সাকলাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসিকের উপ মহাব্যাবস্থাপক( প্রযুক্তি) প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার হোসেন। সেমিনারে প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অংশ নেন। বিকালে একই স্থানে খুলনা জোনের লবন মিল মালিকদের সাথে বিসিকের অর্ধবার্ষিকী পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464