কেরানীগঞ্জে বিএনপি ক্যাডার হৃদয় খানের ত্রাসের রাজত্ব
ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছেন স্থানীয় বিএনপি ক্যাডার হৃদয় খান। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তার আধিপত্য বাড়ছে। স্থানীয়রা জানান, তার দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
হৃদয় খানের নেতৃত্বে রয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনের একটি কিশোর গ্যাং, যারা এলাকায় ভয় সৃষ্টি করে রেখেছে। ফুটপাতের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে জমির মালিক—সবাইকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয় তাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক সেবন ও বিক্রি থেকে শুরু করে অবৈধ সম্পর্ক পর্যন্ত, হৃদয় খান সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের প্রতিনিধি দল হৃদয়ের গতিবিধি অনুসরণ করে। কিছুক্ষণ পর তিনি এক তরুণীর বাসায় প্রবেশ করেন, যেখানে মেয়েটি একাই ভাড়া থাকেন। এরপর রুমের মধ্যে যখন তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন, তখন আমাদের প্রতিনিধি দল দরজায় কড়া নাড়ে। এতে হতবাক হয়ে পড়েন হৃদয় ও ওই তরুণী।
ধরা পড়ার পর হৃদয় খান বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নিপুণ রায় ও সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নাম নেন। তিনি জানান, তাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা তাকে সব ধরনের সুরক্ষা দেন। হৃদয়ের দাবি, সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান তাদের বাসায় গিয়ে সময় কাটান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকের সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, ৫ই আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা হৃদয় খান কেরানীগঞ্জ এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ নানা অপরাধে সরাসরি যুক্ত। স্থানীয়রা জানান, তার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না।