কুচক্রিমহল ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: রকিবুল ইসলাম বকুল
কুচক্রিমহল পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ মেনে নেবে না এবং তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলনের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। তবে জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ অপেক্ষায় আছে ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য।
আজ বিকাল ৪টায় খুলনার খালিশপুর থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় শীতার্ত অসহায় ও নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রকিবুল ইসলাম বকুল অবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান।
খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতিমধ্যে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে সম্মেলন শেষ করার চেষ্টা চলছে। তবে তা সম্ভব না হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সম্মেলন আয়োজন করা হবে এবং চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
বিএনপি নেতা বকুল লুটেরা সরকারের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলোর পুনরায় চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধসহ পাটকলগুলো চালু করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের যেকোনো সংকটে জিয়া পরিবার এগিয়ে এসেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও ৯০ সালে এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের পতনেও বিএনপির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে অবিচল।
বকুল অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের কালো টাকায় বিক্রি হয়ে কিছু কুচক্রিমহল ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে। তবে দেশের জনগণ এখন সচেতন। তারা ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী বাবু, ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।