কলারোয়ার কুশোডাঙ্গায় কৃষি জমির মাটি বাণিজ্য তুঙ্গে
সাতক্ষীরা কলারোয়ার উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে কৃষি জমি থেকে মাটি বাণিজ্যে তুঙ্গে উঠেছে। এসব জমির মাটি অবৈধ ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বহন করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে অবৈধ এই ব্যবসায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর দিনদিন ফসলের জমি হারাচ্ছে কৃষকরা।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব মেতে ওঠেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এরমধ্যে কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামের খোকনসহ বেশকয়েক ব্যক্তি এই ব্যবসায় আঙ্গুল ফলে কলাগাছ বনে গেছেন। এতে করে যেমন ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কাঁচা-পাকা রাস্তা ও ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা দীঘদিন ধরে কৃষি জমি থেকে মাটি তুলে অন্যত্র বিক্রি করছে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে দিন রাত সমান তালে চলছে কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। এ সংক্রান্ত আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও কেউই তা মানছে না। ফলে প্রতিদিন একরের পর একর কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। কেও আবার তিন ফসলি জমি অবৈধভাবে মাটি খনন করে পুকুর বানাচ্ছে। এতে যেমন জমি উর্বরশক্তি হারাচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। জমি ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর করে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। তারা এমন কাণ্ড লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন নিরবতা পালন করছে বলে ভূক্তভোগিরা জানিয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা হয়, তখন রাস্তায় চলাফেরা করতে আমাদের খুবই সমস্যা হয়, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাও ঘটছে। এছাড়াও ধুলাবালি কারণে অসুস্থ মানুষের শ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন মুঠোফোনে জানান, নায়েব সাহেবকে পাঠিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করা হবে।