জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে
ইরানের প্রতি হুতিদের অস্ত্র সহায়তা বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
ইয়েমেনের হুতিদের অস্ত্র সহায়তা বন্ধে ইরানের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। লোহিত সাগরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ঠেকাতে ইরানকে হুতিদের অস্ত্র সহায়তা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে মার্কিন ডেপুটি অ্যম্বাসেডর রাবার্ট উড এ আহ্বান জানান। লোহিত সাগরে ইরানি অস্ত্র দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে আসছে ইয়েমেনের যোদ্ধাগোষ্ঠী হুতি বাহিনী; এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার ইরানকে হুতিদের অস্ত্র সহায়তা বন্ধের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। যদি ইরান হুতিদের অস্ত্র সহায়তা অব্যাহত রাখে লোহিত সাগরে অস্থিরতা আরো দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
উড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, যদি ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে হয় তাহলে এখানে ইরানকে কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে। এসময় তিনি হুতিদের সমর্থন থেকে ইরানকে সরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন প্রমাণ আছে যে ইরান জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হুতিদের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। এক্ষেত্রে তেহরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন উড। এ বিষয়ে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন উড।
তবে হুতিদের দাবি গাজায় নীরিহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে লোহিত সাগর এবং আরব উপসাগরে শুধুমাত্র ইসরাইলগামী বিভিন্ন জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তারা।
গাজায় এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। এরমধ্যে গত নভেম্বরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ নিজেদের কব্জায় নিয়েছিল ইয়েমেনের ওই যোদ্ধাগোষ্ঠীটি। পরে আরব উপসাগরে হুতিদের লক্ষ্য করে যৌথ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। এতে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ওই রুট ব্যবহারে বিরত থাকেন বিশ্বের বৃহৎ কয়েকটি শিপিং কোম্পানি। তারা অন্য রুট দিয়ে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, যারফলে বিভিন্ন দেশের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্ববাণিজ্যে একধরণের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।