ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

মাধবপুরে জালালাবাদ গ্যাস সংযোগের ৮৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ধুম্রজাল! ১ যুগেও হয়নি সমাধান

মোঃ মুজাহিদ মসি::

জালালাবাদ গ্যাসের সংযোগের ৮৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ধুম্রজাল! ১ যুগেও হয়নি কোন সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

সরিজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়ন ও শায়েস্তাগন্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের ২০১০ সালে দেশের সুনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান(বাদশাগ্রুপ,আর এ কে গ্রুপ,স্কয়ার গ্রুপ,প্রান-আরএফএল) নির্মাণ কাজ শুরু করে এমতাস্থায় বাঘাসুরা ইউনিয়নের নেতৃীস্থানীয় লোকজন জালালাবাদ গ্যাস থেকে আবাসিক সংযোগ নেয়ার জন্য রিয়াজনগর, মানিকপুর, সুন্দরপুর, হরিতলা, ফতেহপুর, কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয়জনতা গনদাবী বাস্তবায়ন পরিষদ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য আন্দোলনে ডাক দেয় এবং বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস দেওয়ার লাইনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় ।পরর্তীতে সিন্ধান্ত হয় যে উক্ত এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিতে যে  টাকা খরচ হবে তা বিভিন্ন কোম্পনী দিবে সেই সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন কোম্পানীর কাছ ৮৫ লক্ষ টাকা তোলে উক্ত এলাকায় আবাসিক সংযোগের জামানত হিসাবে শাহজিবাজার জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড বরাবরে পে-অর্ডার মাধ্য়ামে জমা দেওয়া হয়। এর কিছু দিন পর সরকার ২০১০ সালে ১৩ ই জুলাই আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস-সংযোগ দেয়া বন্ধ ঘোষনা করে।এর পর থেকে আজবধি গ্যাস সংযোগের বিষয়টি দামাচাপা পরে থাকে।

সম্প্রতি ওই এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমনের একটি বক্তৃতায় বলেন, ওই টাকা পেট্রো বাংলার তথা জালালাবাদ গ্যাসের পেটে না কোন নেতার পেটে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।তার এলাকায় কোন অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলেও জানান। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে নতুন করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

স্থানীয় ইউ/পি সদস্য শামছুল আলম জানান,যেহেতু টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে জালালাবাদ গ্যাসকে পেমেন্ট করা হয়েছে তাই এটি অস্বীকার করারও সুযোগ নাই যেমন আবার এ টাকা কেউ একা তোলার মত কোন সযোগ নাই।

গ্যাস লাইন পেতে স্থানীয়দের নিয়ে গড়ে ওঠা গণদাবী বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক সাইদুর রহমান তালুকদার জানান,আইন করে আবাসিক লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা গ্যাসের লাইন পাচ্ছিনা।  আমাদের এলাকার ৮৫ লক্ষ টাকা এরা ফেরত দিচ্ছে না। আমরা সংযোগ না পেলে উচ্চ আদালতের যাবো।

এ ব্যাপারে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের শাহজীবাজারের আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ জানান,সকল টাকা আমাদের ফান্ডে জমা রয়েছে।আত্মসাৎ করার প্রশ্নই আসে না। গ্রাহকরা বিধি মোতাবেক আবেদন করলে সেই টাকা ফেরত পাবে। তবেেএক যুগ ধরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিনা এই প্রশ্ন করলে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির হবিগঞ্জ এলাকার উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুহুল করিম চৌধুরী বলেন,পেট্রো বাংলা তথা জালালাবাদ গ্যাস নিয়ে আত্মসাধের ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের বক্তব্যটি সত্য নয়। গ্রাহকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের কাছে আসলে সে টাকা ফেরত দিতে আমরা ব্যবস্থা নিব।অন্যান্য এলাকার অনেক গ্রাহককে আমরা টাকা ফেরত দিয়েছি।  সরকারিভাবে গ্যাসের আবাসিক লাইন বিতরণ বন্ধ রয়েছে।

 

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
৫১৯ বার পড়া হয়েছে

এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

মাধবপুরে জালালাবাদ গ্যাস সংযোগের ৮৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ধুম্রজাল! ১ যুগেও হয়নি সমাধান

আপডেট সময় ০২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

জালালাবাদ গ্যাসের সংযোগের ৮৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ধুম্রজাল! ১ যুগেও হয়নি কোন সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

সরিজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়ন ও শায়েস্তাগন্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের ২০১০ সালে দেশের সুনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান(বাদশাগ্রুপ,আর এ কে গ্রুপ,স্কয়ার গ্রুপ,প্রান-আরএফএল) নির্মাণ কাজ শুরু করে এমতাস্থায় বাঘাসুরা ইউনিয়নের নেতৃীস্থানীয় লোকজন জালালাবাদ গ্যাস থেকে আবাসিক সংযোগ নেয়ার জন্য রিয়াজনগর, মানিকপুর, সুন্দরপুর, হরিতলা, ফতেহপুর, কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয়জনতা গনদাবী বাস্তবায়ন পরিষদ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য আন্দোলনে ডাক দেয় এবং বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস দেওয়ার লাইনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় ।পরর্তীতে সিন্ধান্ত হয় যে উক্ত এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিতে যে  টাকা খরচ হবে তা বিভিন্ন কোম্পনী দিবে সেই সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন কোম্পানীর কাছ ৮৫ লক্ষ টাকা তোলে উক্ত এলাকায় আবাসিক সংযোগের জামানত হিসাবে শাহজিবাজার জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড বরাবরে পে-অর্ডার মাধ্য়ামে জমা দেওয়া হয়। এর কিছু দিন পর সরকার ২০১০ সালে ১৩ ই জুলাই আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস-সংযোগ দেয়া বন্ধ ঘোষনা করে।এর পর থেকে আজবধি গ্যাস সংযোগের বিষয়টি দামাচাপা পরে থাকে।

সম্প্রতি ওই এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমনের একটি বক্তৃতায় বলেন, ওই টাকা পেট্রো বাংলার তথা জালালাবাদ গ্যাসের পেটে না কোন নেতার পেটে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।তার এলাকায় কোন অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলেও জানান। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে নতুন করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

স্থানীয় ইউ/পি সদস্য শামছুল আলম জানান,যেহেতু টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে জালালাবাদ গ্যাসকে পেমেন্ট করা হয়েছে তাই এটি অস্বীকার করারও সুযোগ নাই যেমন আবার এ টাকা কেউ একা তোলার মত কোন সযোগ নাই।

গ্যাস লাইন পেতে স্থানীয়দের নিয়ে গড়ে ওঠা গণদাবী বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক সাইদুর রহমান তালুকদার জানান,আইন করে আবাসিক লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা গ্যাসের লাইন পাচ্ছিনা।  আমাদের এলাকার ৮৫ লক্ষ টাকা এরা ফেরত দিচ্ছে না। আমরা সংযোগ না পেলে উচ্চ আদালতের যাবো।

এ ব্যাপারে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের শাহজীবাজারের আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ জানান,সকল টাকা আমাদের ফান্ডে জমা রয়েছে।আত্মসাৎ করার প্রশ্নই আসে না। গ্রাহকরা বিধি মোতাবেক আবেদন করলে সেই টাকা ফেরত পাবে। তবেেএক যুগ ধরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিনা এই প্রশ্ন করলে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির হবিগঞ্জ এলাকার উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুহুল করিম চৌধুরী বলেন,পেট্রো বাংলা তথা জালালাবাদ গ্যাস নিয়ে আত্মসাধের ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের বক্তব্যটি সত্য নয়। গ্রাহকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের কাছে আসলে সে টাকা ফেরত দিতে আমরা ব্যবস্থা নিব।অন্যান্য এলাকার অনেক গ্রাহককে আমরা টাকা ফেরত দিয়েছি।  সরকারিভাবে গ্যাসের আবাসিক লাইন বিতরণ বন্ধ রয়েছে।