বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনার কোন বিকল্প নেই
বাগেরহাটে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বক্তারা বাল্য বিবাহের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এর প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। ১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা জানান, বাল্য বিবাহ সমাজে এক ধরনের ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে, যা পারিবারিক কলহ, মাতৃমৃত্যু, বহু বিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।
এ সভায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সরকারের আইন ও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়, কিন্তু এর পরেও বাল্য বিবাহ বন্ধ না হওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ইউনিসেফ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
বিশেষভাবে, গ্রাম পুলিশ এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর কৌশল নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, “বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই” এবং একে প্রতিরোধ করতে সকল স্তরের মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে।
এই আলোচনা সভায় ইউনিসেফ খুলনা বিভাগের প্রধান মোঃ আবু নাসের, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম, বাগেরহাট পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুদ্দীন মোল্লা, বাগেরহাট জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাহেলা পারভীন সহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।