ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাপাসিয়ার সাবেক এমপি রিমিসহ দুই ওসির নামে আদালতে মামলা

মাসুদ পারভেজ, কাপাসিয়া::

গাজীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং কাপাসিয়া থানার সাবেক দুই ওসিসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেছেন এক ব্যক্তি।

 

সোমবার (২৩) সেপ্টেম্বর গাজীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি। বাদি কাপাসিয়া উপজেলার রাওনাট গ্রামের মৃত সফিউদ্দীনের ছেলে। তিনি মামলায় তার বাবা সফিউদ্দীন মাস্টারকে হত্যার অভিযোগ করেছেন।

 

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, কাপাসিয়া থানার সদ্য সাবেক ওসি আবু বকর মিয়া, সাবেক ওসি এ এফ এম নাসিম, একই থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম ও সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক সুমন, গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন সেলিম, ইমানুল্লাহ ইমু, যুবলীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক রাজীব ঘোষ, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক আমির হামজাসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৬ অক্টোবর রাওনাট গ্রামের সফিউদ্দীন মাস্টারকে বিনা পরোয়ানায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কাপাসিয়া থানা পুলিশ। এসময় থানার সামনে সফি মাস্টারকে নিয়ে গেলে আসামিরা হাতকড়া পরা অবস্থায় এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরবর্তীতে কোনো চিকিৎসা না করেই থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরদিন ২৭ অক্টোবর কাপাসিয়া থানার একটি মামলায় [নম্বর-১৬ (১১) ২২] অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জেলের মধ্যেও এমপি রিমির আদেশে আসামিকে মারধর করা হয়েছে। এরপর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর কারাগারে সফি মাস্টারের মৃত্যু হয়।

 

এ বিষয়ে মামলার এডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন, গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আখি আক্তার এর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাপাসিয়ার বর্তমান ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:২৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫০২ বার পড়া হয়েছে

কাপাসিয়ার সাবেক এমপি রিমিসহ দুই ওসির নামে আদালতে মামলা

আপডেট সময় ১২:২৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং কাপাসিয়া থানার সাবেক দুই ওসিসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেছেন এক ব্যক্তি।

 

সোমবার (২৩) সেপ্টেম্বর গাজীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি। বাদি কাপাসিয়া উপজেলার রাওনাট গ্রামের মৃত সফিউদ্দীনের ছেলে। তিনি মামলায় তার বাবা সফিউদ্দীন মাস্টারকে হত্যার অভিযোগ করেছেন।

 

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, কাপাসিয়া থানার সদ্য সাবেক ওসি আবু বকর মিয়া, সাবেক ওসি এ এফ এম নাসিম, একই থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম ও সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক সুমন, গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন সেলিম, ইমানুল্লাহ ইমু, যুবলীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক রাজীব ঘোষ, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক আমির হামজাসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৬ অক্টোবর রাওনাট গ্রামের সফিউদ্দীন মাস্টারকে বিনা পরোয়ানায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কাপাসিয়া থানা পুলিশ। এসময় থানার সামনে সফি মাস্টারকে নিয়ে গেলে আসামিরা হাতকড়া পরা অবস্থায় এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরবর্তীতে কোনো চিকিৎসা না করেই থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরদিন ২৭ অক্টোবর কাপাসিয়া থানার একটি মামলায় [নম্বর-১৬ (১১) ২২] অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জেলের মধ্যেও এমপি রিমির আদেশে আসামিকে মারধর করা হয়েছে। এরপর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর কারাগারে সফি মাস্টারের মৃত্যু হয়।

 

এ বিষয়ে মামলার এডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন, গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আখি আক্তার এর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাপাসিয়ার বর্তমান ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।