ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর পদ্মার চরে যে সেতু অকার্যকর

গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী

 

 

রাজশাহীর পদ্মার চরে এই সেতু কোনো কাজেই আসছে না। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা চরের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু থেকে রাস্তা নিচু করায় এটি কোনো কাজেই আসছে না। এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। দুটি সেতুর মধ্যে একটি হলো পলাশি ফতেপুর গ্রামের বাবলু ব্যাপারীর দোকানের সমানে। আরেকটি হলো তার দুইশ গজ পশ্চিমে।

জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশি ফতেপুর-লক্ষীনগর রাস্তার ওপর দুইশ গজের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪০ ফুট করে একই সঙ্গে পরপর দুটি সেতু নির্মাণ করে। এতে ব্যয় হয় ৬১ লাখ ৮০ হাজার ৪০ টাকা।

 

এই সেতু দিয়ে পলাশি ফতেপুর, দাদপুর, লক্ষীনগর, কালিদাসখালী, চকরাজাপুর, নিচ পলাশি ফতেপুর, উদয়পুর, ফতেপুর পলাশিসহ ৮টি চরের প্রায় ৮ হাজার মানুষ চলাচল করেন। সেতুর মুখ সমান রাস্তায় মাটি না দেওয়ার কারণে এই সেতু দুটি জনগণের চলাচলে কোনো কাজে আসছে না।

পলাশি ফতেপুর চরের বাবলু ব্যাপারী, সোনামুদ্দিন মিস্ত্রি, রেজাউল করিম বলেন, সেতুর ওপারে শত শত বিঘা জমি আছে। এই জমিগুলোর ফসল সংগ্রহ করে আনতে ডবল লেবার খরচ দিতে হচ্ছে। সাত বছর আগে সেতু তৈরি করা হলেও সেতুর সমান রাস্তার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

দাদপুর চরের সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সবজির ব্যবসা করি। এই সেতু দিয়ে পার হওয়া যায় না। ফলে দুই কিলোমিটার পথ ছয় কিলোমিটার ঘুরে পলাশি ফতেপুর হাটে আসতে হয়।

 

চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, সেতু নির্মাণের পর সেতু সমান রাস্তা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। এছাড়া কৃষি ও গবাদি পশুপালন নির্ভর এলাকা। এলাকাবাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রতিদিন চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর বাজারগুলো যেতে হয়। ফলে সেতুর মুখ সমান মাটি ভরাট না করায় দুর্দশার মধ্য দিয়ে মানুষ চলাচল করছেন।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাহামুদুল ইসলাম বলেন, এ সেতুর বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১০:১১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫০২ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর পদ্মার চরে যে সেতু অকার্যকর

আপডেট সময় ১০:১১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

রাজশাহীর পদ্মার চরে এই সেতু কোনো কাজেই আসছে না। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা চরের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু থেকে রাস্তা নিচু করায় এটি কোনো কাজেই আসছে না। এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। দুটি সেতুর মধ্যে একটি হলো পলাশি ফতেপুর গ্রামের বাবলু ব্যাপারীর দোকানের সমানে। আরেকটি হলো তার দুইশ গজ পশ্চিমে।

জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশি ফতেপুর-লক্ষীনগর রাস্তার ওপর দুইশ গজের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪০ ফুট করে একই সঙ্গে পরপর দুটি সেতু নির্মাণ করে। এতে ব্যয় হয় ৬১ লাখ ৮০ হাজার ৪০ টাকা।

 

এই সেতু দিয়ে পলাশি ফতেপুর, দাদপুর, লক্ষীনগর, কালিদাসখালী, চকরাজাপুর, নিচ পলাশি ফতেপুর, উদয়পুর, ফতেপুর পলাশিসহ ৮টি চরের প্রায় ৮ হাজার মানুষ চলাচল করেন। সেতুর মুখ সমান রাস্তায় মাটি না দেওয়ার কারণে এই সেতু দুটি জনগণের চলাচলে কোনো কাজে আসছে না।

পলাশি ফতেপুর চরের বাবলু ব্যাপারী, সোনামুদ্দিন মিস্ত্রি, রেজাউল করিম বলেন, সেতুর ওপারে শত শত বিঘা জমি আছে। এই জমিগুলোর ফসল সংগ্রহ করে আনতে ডবল লেবার খরচ দিতে হচ্ছে। সাত বছর আগে সেতু তৈরি করা হলেও সেতুর সমান রাস্তার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

দাদপুর চরের সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সবজির ব্যবসা করি। এই সেতু দিয়ে পার হওয়া যায় না। ফলে দুই কিলোমিটার পথ ছয় কিলোমিটার ঘুরে পলাশি ফতেপুর হাটে আসতে হয়।

 

চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, সেতু নির্মাণের পর সেতু সমান রাস্তা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। এছাড়া কৃষি ও গবাদি পশুপালন নির্ভর এলাকা। এলাকাবাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রতিদিন চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর বাজারগুলো যেতে হয়। ফলে সেতুর মুখ সমান মাটি ভরাট না করায় দুর্দশার মধ্য দিয়ে মানুষ চলাচল করছেন।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাহামুদুল ইসলাম বলেন, এ সেতুর বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।