হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় ফের বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার পাদুর্ভাব। এক চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম। জনবল সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে  বার বার অবহিত করা হলেও যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৬১ জন জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে। বেড সংকটের কারণে রোগীরা নানা ভোগান্তির শিকার। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ৩৫ জন শিশু রোগী নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত চিকিৎসা নিচ্ছে।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগিদের কয়েকজন  অভিভাবকের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, চিকিৎসকের অভাবে সঠিক সেবা পাচ্ছি না তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঠিকমত ঔষধ পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তারা জানান, কিছু কিছু ঔষধ বাহির থেকে কিনে আনতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার অপর্না সুত্রধরের সাথে জনবল সংকট চিকিৎসা সেবায় ব্যঘাত হওয়ার কারন কি জানতে চাইলে তিনি আবেগতাড়িতভাবে হয়ে বলেন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মাত্র ডাক্তার সৃষ্টি কর্তায় যদি আমাকে মা দুর্গার মত ১০টা হাত দিতেন তার পরেও আগত রোগীদের সেবা দিতে সম্ভব হবে না কারণ আমি একা জরুরী বিভাগে কাজ করব না আন্তঃবিভাগের ভর্তিকৃত রোগীর সেবা দিব তাই আমি রোগীর সেবা দিতে গিয়ে মানুষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।

বর্তমান সময়ে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার পাদুর্ভাব কেন দেখা দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান,প্রচন্ড গরমের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিদিন হিটস্ট্রোকের রোগী আসছেন। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে, টাটকা ভালো খাবার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং ভালো ভাবে হাত ধুয়ে খাবার খেতে হবে। তিনি আরো জানান, জনবল বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত উপজেলা জনগনের সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।