লাখাইয়ে সরকারী খাল প্রভাবশালীদের দখলে,প্রশাসনের নেই কোন উদ্যোগ
লাখাই উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক এর দক্ষিণ পাশের খাল ভরাট হওয়ায় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে ফলে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। আর সমস্যার কারনে উপজেলার কৃষকগন পড়েছে বিপাকে। এখনই সময় সরকারী খাল উদ্ধারের উপযুক্ত সময়। বর্তমান সংস্কারের দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।এই উপযুক্ত সময়ে লাখাই উপজেলার পানি নিষ্কাশনের ভরাটকৃত খাল উদ্ধার করা না হলে সরকার হারাবে সরকারী সম্পদ।সরকারী খাল কতিপয় ব্যাক্তিগন খাল ভরাট করে নিজ দখলে নিয়ে কেউ কেউ নিজের জমির সাথে মিশিয়ে বানিয়েছেন জমি আবার কেউ কেউ নির্মাণ করেছেন বাসগৃহ আবার কেউ কেউ নির্মাণ করেছেন দোকান গৃহ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে হবিগঞ্জ লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের খাল বেকীটেকা হইতে বামৈ তিনপুল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে সরকারী খাল দখল করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান, বাড়ী নির্মাণ। কতিপয় ব্যাক্তিরা নিজের জমির সাথে মিলিয়ে বানিয়েছেন কৃষি জমি। আবার কেউ কেউ বানিয়েছেন পুকুর ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
এই জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ে অসহায় কৃষক ও জনসাধারণ। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় বিগত ২০০৬- ২০০৮ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদ করা হলেও পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূনরায় আবারও সরকারী খাল কতিপয় ব্যাক্তিদের দখলে চলে যায়। সরেজমিনে ঘুরে আরো দেখা গেছে সরকারী খাল ভরাট করে স্থায়ী ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় পারপেয়ে যায় অবৈধ দখলকারীরা। কোন কোন সময় স্থানীয় প্রশাসন এর নজড়ে দিলেও রাজনৈতিক প্রভাববিস্থারের কারণে ভুমিকা পালন করতে পারে নাই। সরেজমিনে ঘুরে আরো দেখা গেছে উপজেলার করাব, বুল্লা ও বামৈ গ্রাম এলাকায় আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের খাল কতিপয় ব্যক্তিরা দখল করে রেখেছে।
এ সব বিষয়ে উপজেলার সচেতন, সুশিল সমাজের মাঝে নানা কৌতুহল ও নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে বুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ এর সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারী খাল যারাই অবৈধ দখল করে থাকে তা হলে ঔ সরকারী খাল উদ্ধার করা জরুরী।
এ বিষয়ে বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আজাদ হোসেন ফুরুক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সরকারী খাল অবৈধ ভাবে দখল করে থাকে তা হলে দখলমুক্ত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার কালে তিনি জানান, সরকারী খাল যদি কাহারও দখলে থেকে থাকে তা হলে আমার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান এর মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে সরকারী খাল উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমান এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার কালে তিনি জানান, সরকারী সম্পত্তি যারাই দখল করে থাকে তাদের কে চিহ্নিত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ এর নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এডিসি মহোদয় এর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়াও বুল্লা বাজারে সিংহগ্রামের গরু বাছুর নিয়ে হাওরে যাওয়ার রাস্তাটিও কতিপয় ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে দখল করে আছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, বাজারের ইজারাদার কে প্রতিদিন ভাড়া দিয়ে আমরা ব্যবসা করে আসছি।
ট্যাগস :