যশোরের চাঁচড়ায় যুবলীগ নেতার নামে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি
যশোরের চাঁচড়ায় প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি। বাজার এলাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী ৭০টি অধিক দোকান থেকে প্রতিদিন ৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলার ও যুবলীগ নেতা আলমগীর কবির সুমনের (হাজি সুমন) লোক পরিচয় দিয়ে এ চাঁদা আদায় করত। ছাত্র আন্দোলনের পর কিছু দিন চাঁদা নেওয়া বন্ধ থাকলেও আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে গোষ্ঠীটি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আন্দোলনের নেমেছে ব্যবসায়ীরা। এ সময় কালেক্টরেট চত্বরে (ডিসি অফিস) বিক্ষোভ কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন চাঁচড়া কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী ও দোকনদারা।
বাজার কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান চেকপোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ নেতা আলমগীর কবির সুমন (হাজি সুমন) লোক পরিচয় দিয়ে মোহাম্মদ হানিফ নামে একজন এ টোল আদায়ের নামে আমাদের কাছে চাঁদা নেন। স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান থেকে প্রতিদিন ৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে আমারা চাঁদার রশিদ চাইলে তারা রশিদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নূর ইসলাম বাবু নামে এক ব্যবসায়ী চেকপোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২৫ হাজার টাকা দিয়ে পজিশন ভাড়া নিতে হয়েছে। প্রতি মাসে আমাকে ঘর ভাড়া বাবদ ৯ হাজার টাকা দিতে হয়। ব্যবসা করা জন্য ট্রেড লাইন্সেসও রয়েছে। তবুও আমাকে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো সমস্যার কারণে দোকান বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের এ ১০০ টাকা করে দিতেই হবে। দিতে না চাইলে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে থাকে এ গোষ্ঠী।
৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও যুবলীগ নেতা আলমগীর কবির সুমন (হাজি সুমন) লোক পরিচয় দানকারী মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ইজারাদার খলিলুর রহমানের হয়ে টোল আদায় করি। নির্ধারিত টোলের বাইরে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হয় না। কাউকে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয় না বলে তিনি দাবি করেন। তবে হাজি সুমনের লোক কি না জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
আ.লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন যুবলীগ নেতা আলমগীর কবির সুমন। ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এবং ইজারাদার খলিলুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষণিক চাঁদা বন্ধের বিষয়ে আশ্বাস দেন। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের কাজ করা হবে।