ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের রামপালে কৃষকদলের কমিটি বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন 

হারুন শেখ, বাগেরহাট প্রতিনিধি::

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা কৃষক দলের নবগঠিত কমিটি বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাব রামপাল এর সভা কক্ষে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন আকুন্জী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বিগত ২০০১ সাল থেকে কৃষক দলের সাথে সক্রিয় ভাবে কাজ করে আসছি। গত ০৩-০৩-২০২০ সালে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে আহ্বায়ক ও আলমগীর হোসেনকে সদস্য সচিব এবং শেখ আব্বাস আলীকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই আহ্বায়ক কমিটি সচল থাকা অবস্থায় নতুন করে আমাদের না জানিয়ে গত ২৪-০৬-২০২৪ তারিখ রামপাল উপজেলা কৃষক দলের একটি পকেট কমিটি করা হয়। বাগেরহাট জেলা কমিটির আহবায়ক মো. আসাফুদ্দৌলা জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক ফকির তৌহিদুল ইসলাম রামপাল উপজেলা কৃষকদলের কমিটি দিয়ে তা ঘোষণা না করে গোপন রাখেন। গত ৫ আগষ্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরে কয়েক দিন আগে আমরা জানতে পারি রামপাল উপজেলা কৃষক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গঠনের সংবাদ জানতে পেরে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। কমিটি করার বিষয়ে আমরা কৃষকদলের বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক আসাফুদৌলা জুয়েল ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফকির তৌহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলাম আমাদের না জানিয়ে কিভাবে কৃষক দলের কমিটি করা হলো? মো. আলমগীর হোসেনকে সভাপতি ও মো. এহতেশামুল আলম মুন্সীকে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক করা হলো। এহতেশামুল আলম মুন্সী  বিগত দিনে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। তিনি গৌরম্ভা বাজারে গিয়ে সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। আওয়ামীলীগের লোকদের বড় পদ দিয়ে কমিটি করে তাদের বিগত সময়ের কর্মকাণ্ডকে আড়াল করা হচ্ছে। যা দলের জন্যে কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না। অনিয়মতান্ত্রীকভাবে করা এমন কমিটি মানি না। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির জোর হস্তক্ষেপ ও তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী করছি।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো. আসাফুদ্দৌলা জুয়েলের মুৃঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা নিয়ম মেনে কমিটি করেছি। তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করে কোন সাড়া না পেয়ে নতুন কমিটি দিয়েছি। কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতা শামিম ভাইয়ের পরামর্শ নিয়েছি। তারা যে অভিযোগ করেছেন সেগুলো অস্বীকার করেন আসাফুদ্দৌলা জুয়েল। এ সময় তার সাথে ছিলেন কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্বাস আলী শেখ।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:১১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের রামপালে কৃষকদলের কমিটি বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন 

আপডেট সময় ০৮:১১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা কৃষক দলের নবগঠিত কমিটি বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাব রামপাল এর সভা কক্ষে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন আকুন্জী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বিগত ২০০১ সাল থেকে কৃষক দলের সাথে সক্রিয় ভাবে কাজ করে আসছি। গত ০৩-০৩-২০২০ সালে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে আহ্বায়ক ও আলমগীর হোসেনকে সদস্য সচিব এবং শেখ আব্বাস আলীকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই আহ্বায়ক কমিটি সচল থাকা অবস্থায় নতুন করে আমাদের না জানিয়ে গত ২৪-০৬-২০২৪ তারিখ রামপাল উপজেলা কৃষক দলের একটি পকেট কমিটি করা হয়। বাগেরহাট জেলা কমিটির আহবায়ক মো. আসাফুদ্দৌলা জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক ফকির তৌহিদুল ইসলাম রামপাল উপজেলা কৃষকদলের কমিটি দিয়ে তা ঘোষণা না করে গোপন রাখেন। গত ৫ আগষ্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরে কয়েক দিন আগে আমরা জানতে পারি রামপাল উপজেলা কৃষক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গঠনের সংবাদ জানতে পেরে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। কমিটি করার বিষয়ে আমরা কৃষকদলের বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক আসাফুদৌলা জুয়েল ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফকির তৌহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলাম আমাদের না জানিয়ে কিভাবে কৃষক দলের কমিটি করা হলো? মো. আলমগীর হোসেনকে সভাপতি ও মো. এহতেশামুল আলম মুন্সীকে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক করা হলো। এহতেশামুল আলম মুন্সী  বিগত দিনে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। তিনি গৌরম্ভা বাজারে গিয়ে সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। আওয়ামীলীগের লোকদের বড় পদ দিয়ে কমিটি করে তাদের বিগত সময়ের কর্মকাণ্ডকে আড়াল করা হচ্ছে। যা দলের জন্যে কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না। অনিয়মতান্ত্রীকভাবে করা এমন কমিটি মানি না। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির জোর হস্তক্ষেপ ও তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী করছি।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো. আসাফুদ্দৌলা জুয়েলের মুৃঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা নিয়ম মেনে কমিটি করেছি। তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করে কোন সাড়া না পেয়ে নতুন কমিটি দিয়েছি। কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতা শামিম ভাইয়ের পরামর্শ নিয়েছি। তারা যে অভিযোগ করেছেন সেগুলো অস্বীকার করেন আসাফুদ্দৌলা জুয়েল। এ সময় তার সাথে ছিলেন কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্বাস আলী শেখ।