ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী  ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি::

ময়মনসিংহের, ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূরনীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে, ১০জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ গতকাল রোববার ঈশ্বরগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ইউপি সদস্যের জমা দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, সোহাগী  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাদির আহাম্মেদ ভূঁইয়া নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি,  লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব  ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের টাকা নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ তার পছন্দের ব্যাক্তিদের দিয়ে করিয়ে নেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউপি সদস্যরা পরিষদ থেকে তাদের প্রাপ্ত সম্মানী দিচ্ছেন না বলেও চেরম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি তার  ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা না করেই পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন।  এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বন্দ্ব চরমে পৌচেছে ।  এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
অন্য দিকে চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত লোক দিয়ে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুষ গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।

ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী বলেন, নির্বাচিত হয়ে আড়াই বছর পার করলেও পরিষদ থেকে তাদের প্রাপ্ত সম্মানী তারা পাচ্ছেন না। ইউনিয়ন পরিষদ অর্থলুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

ইউপি সদস্য নাছিমা খাতুন বলেন, পরিষদে আমাদের কোন মূল্যায়নই করেন না চেয়ারম্যান। সব কাজে তিনি আমাদের বৃদ্ধাআঙুলি দেখান।

সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  কাদির আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ইউপি সদস্যদের অভিযোগ সত্য নয়। আমাকে সরিয়ে দিতে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, ইউপি সদস্যদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিটি অনিয়ম সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করে অভিযোগ দিতে বলেছি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:২৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
৫১৩ বার পড়া হয়েছে

ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী  ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:২৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

ময়মনসিংহের, ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূরনীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে, ১০জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ গতকাল রোববার ঈশ্বরগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ইউপি সদস্যের জমা দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, সোহাগী  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাদির আহাম্মেদ ভূঁইয়া নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি,  লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব  ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের টাকা নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ তার পছন্দের ব্যাক্তিদের দিয়ে করিয়ে নেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউপি সদস্যরা পরিষদ থেকে তাদের প্রাপ্ত সম্মানী দিচ্ছেন না বলেও চেরম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি তার  ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা না করেই পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন।  এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বন্দ্ব চরমে পৌচেছে ।  এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
অন্য দিকে চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত লোক দিয়ে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুষ গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।

ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী বলেন, নির্বাচিত হয়ে আড়াই বছর পার করলেও পরিষদ থেকে তাদের প্রাপ্ত সম্মানী তারা পাচ্ছেন না। ইউনিয়ন পরিষদ অর্থলুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

ইউপি সদস্য নাছিমা খাতুন বলেন, পরিষদে আমাদের কোন মূল্যায়নই করেন না চেয়ারম্যান। সব কাজে তিনি আমাদের বৃদ্ধাআঙুলি দেখান।

সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  কাদির আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ইউপি সদস্যদের অভিযোগ সত্য নয়। আমাকে সরিয়ে দিতে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, ইউপি সদস্যদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিটি অনিয়ম সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করে অভিযোগ দিতে বলেছি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।