রাবির সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে ডিবিকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একযোগে কোটা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা হলেও রাবি সমন্বয়করা কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় না করে নিজেদের মতো কর্মসূচি দেন।
এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ১০ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে কেন্দ্র থেকে ১৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে অবাঞ্ছিতরা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ডিবি পুলিশকে তথ্য দিয়ে একজনকে উঠিয়ে নেওয়া ও প্রশাসন-ছাত্রলীগের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নামে মামলাও করিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
আন্দোলনকে নস্যাৎ করার অভিযোগ ওঠা অবাঞ্ছিত শিক্ষার্থীরা হলেনÑসাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজওয়ান গাজী মহারাজ ও কর্মী দর্শন বিভাগের আশিকুল্লাহ মুহিব, পপুলেশন সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুলাহ খান এবং রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাবির সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, সারা বাংলাদেশ যখন বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে তখন তারা শুধু সংবাদ সম্মেলনের মতো হাস্যকর কর্মসূচি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একজন সমন্বয়ক পদত্যাগ করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি থেকে অন্য তিন সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজওয়ান গাজী মহারাজ বলেন, আমি কোনো শিক্ষার্থীকে ডিজিএফআইয়ের কাছে নিয়ে যাইনি। ডিজিএফআই আমাকে ফোন দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে যেতে বলে, তাই বাধ্য হয়ে সেখানে গিয়েছি।
আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ডিবিকে কোনো তথ্য দিইনি। তারা কেন অভিযোগ করছে সেটাও বলতে পারব না।