ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে পোশাক শিল্পের ৪৭ ব্যবসায়ীর সংহতি

চেকপোস্ট প্রতিবেদক::

ছাত্রদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন দ্বিতীয় প্রজন্মের ৪৭ তরুণ গার্মেন্ট মালিক। তারা ৯ দফাকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের দাবি হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের পোশাক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্য হিসাবে সাধারণ জনগণের চলমান ৯ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্য হিসাবে আমরা নিরপরাধ প্রাণের ক্ষতিতে নীরব থাকতে পারি না। আমরা এই দেশের সব নাগরিকের জন্য আমাদের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই। আমাদের গভীর সহানুভূতি এবং সমবেদনা জানাই তাদের প্রতি যারা মর্মান্তিক প্রাণহানির মুখোমুখি হয়েছেন এবং হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। জাতির স্বার্থে ন্যায়বিচার এবং অবিলম্বে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানাই। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তারা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান।

তিনি যুগান্তরকে বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কোনো ধরনের অপমৃত্যু বা হত্যাকাণ্ড কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তৈরি পোশাক শিল্প নির্ভর হওয়ায় সব পক্ষকে এ শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানাই।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের অনাকাক্সিক্ষত রক্তপাত, হানাহানিতে আমরা মর্মাহত। এটি বিবেকবান মানুষ সমর্থন করতে পারে না। আন্দোলন চলমান থাকলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানিমুখী শিল্প। তাই দেশের স্বার্থে, শিল্পের স্বার্থে হানাহানি বন্ধ করার বিকল্প নেই।

কারখানা চালু নিয়ে দ্বিধাদন্দ্ব মালিকরা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে কারখানা খোলা রাখা হবে নাকি বন্ধ রাখা হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছেন গার্মেন্ট মালিকরা। বস্ত্র খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যার যার এলাকার পরিস্থিতি বুঝে গার্মেন্ট মালিকরাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। একই কথা জানান বিজিএমইএর সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
৫০৬ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে পোশাক শিল্পের ৪৭ ব্যবসায়ীর সংহতি

আপডেট সময় ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্রদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন দ্বিতীয় প্রজন্মের ৪৭ তরুণ গার্মেন্ট মালিক। তারা ৯ দফাকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের দাবি হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের পোশাক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্য হিসাবে সাধারণ জনগণের চলমান ৯ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্য হিসাবে আমরা নিরপরাধ প্রাণের ক্ষতিতে নীরব থাকতে পারি না। আমরা এই দেশের সব নাগরিকের জন্য আমাদের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই। আমাদের গভীর সহানুভূতি এবং সমবেদনা জানাই তাদের প্রতি যারা মর্মান্তিক প্রাণহানির মুখোমুখি হয়েছেন এবং হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। জাতির স্বার্থে ন্যায়বিচার এবং অবিলম্বে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানাই। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তারা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান।

তিনি যুগান্তরকে বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কোনো ধরনের অপমৃত্যু বা হত্যাকাণ্ড কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তৈরি পোশাক শিল্প নির্ভর হওয়ায় সব পক্ষকে এ শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানাই।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের অনাকাক্সিক্ষত রক্তপাত, হানাহানিতে আমরা মর্মাহত। এটি বিবেকবান মানুষ সমর্থন করতে পারে না। আন্দোলন চলমান থাকলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানিমুখী শিল্প। তাই দেশের স্বার্থে, শিল্পের স্বার্থে হানাহানি বন্ধ করার বিকল্প নেই।

কারখানা চালু নিয়ে দ্বিধাদন্দ্ব মালিকরা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে কারখানা খোলা রাখা হবে নাকি বন্ধ রাখা হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছেন গার্মেন্ট মালিকরা। বস্ত্র খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যার যার এলাকার পরিস্থিতি বুঝে গার্মেন্ট মালিকরাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। একই কথা জানান বিজিএমইএর সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।