ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে নদী পার হয়ে ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি::

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভা এলাকায় শিব নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত ১২০ বছরের প্রাচীন নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ভালো হলেও যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।

সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৩২ ফুট গভীর নদী পার হওয়ার দুটি উপায় রয়েছে—নৌকায় চড়ে অল্প সময়ে যাওয়া অথবা প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে কাদা ভরা দূরপথে যাওয়া। নৌকা সহজ উপায় হলেও সেখানে থাকে চরম ঝুঁকি।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম জানায়, তার বাড়ি নদীর ওইপারে মালিদহ গ্রামে। প্রতিদিন নৌকায় চড়ে বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে সে ও তার সহপাঠীরা বহুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে বই-খাতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শরীরেও আঘাত পেয়েছে তারা।

আরেক শিক্ষার্থী আলিশা বলে, নদী ভরা থাকলে কিংবা স্রোত বেশি হলে নৌকায় যাতায়াতের সময় ভয় লাগে। বড়রা সাঁতরে উঠতে পারলেও ছোট ভাইবোনেরা বিপদে পড়ে। এজন্য তারা বিদ্যালয়ে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানায়।

এমন সমস্যায় শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, নওগাঁ, মালিদহ ও গোপইল গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ ১২০ বছরেও বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। ফলে সেতু নির্মাণ এখন স্থানীয়দের যৌক্তিক দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১১:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫৩০ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীতে নদী পার হয়ে ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ১১:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভা এলাকায় শিব নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত ১২০ বছরের প্রাচীন নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ভালো হলেও যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।

সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৩২ ফুট গভীর নদী পার হওয়ার দুটি উপায় রয়েছে—নৌকায় চড়ে অল্প সময়ে যাওয়া অথবা প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে কাদা ভরা দূরপথে যাওয়া। নৌকা সহজ উপায় হলেও সেখানে থাকে চরম ঝুঁকি।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম জানায়, তার বাড়ি নদীর ওইপারে মালিদহ গ্রামে। প্রতিদিন নৌকায় চড়ে বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে সে ও তার সহপাঠীরা বহুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে বই-খাতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শরীরেও আঘাত পেয়েছে তারা।

আরেক শিক্ষার্থী আলিশা বলে, নদী ভরা থাকলে কিংবা স্রোত বেশি হলে নৌকায় যাতায়াতের সময় ভয় লাগে। বড়রা সাঁতরে উঠতে পারলেও ছোট ভাইবোনেরা বিপদে পড়ে। এজন্য তারা বিদ্যালয়ে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানায়।

এমন সমস্যায় শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, নওগাঁ, মালিদহ ও গোপইল গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ ১২০ বছরেও বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। ফলে সেতু নির্মাণ এখন স্থানীয়দের যৌক্তিক দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।