ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনার মুজগুন্নী মহাসড়ক

২১ কোটি টাকার সড়ক দুবছরে খানা-খন্দে ভরপুর

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মুজগুন্নী মহাসড়ক, যা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে নতুন রাস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত, দু’বছরের মধ্যে আবার গর্ত ও জলাবদ্ধতায় ভরপুর হয়েছে।

স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২১ সালে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের মে মাসে প্রায় ৫.৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের সংস্কার সম্পন্ন হয়। সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, সঙ্গে নতুন ড্রেনের জন্য খরচ হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা।

কিন্তু নির্মাণকাজের মান ও নকশাগত জটিলতার কারণে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যাচ্ছে। জুলাই মাসে ১৪ দিন সড়কটি পানিতে তলিয়ে ছিল।

স্থানীয়রা জানান, ৫০০ শয্যার খুলনা মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যার খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালসহ প্রায় ৫০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ সড়কের ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি সড়কের পাশে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা অবস্থিত।

সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ কুদরতই খুদা বলেন, “অপরিকল্পিত নকশা ও নিম্নমানের কাজের কারণে ৫৫ কোটি টাকার বাজেট বৃথা গেছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের শাস্তি না হলে ভবিষ্যতেও অর্থ অপচয় হবে।”

কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, সড়কটি আরও উঁচু করা প্রয়োজন ছিল, যা না হওয়ায় কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমেছে এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মুজগুন্নী মহাসড়ক ও এম এ বারী সড়ককে মিলিয়ে নতুন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, যা দ্রুত সড়ক মেরামত ও স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করবে।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৫:২০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
৫২৩ বার পড়া হয়েছে

খুলনার মুজগুন্নী মহাসড়ক

২১ কোটি টাকার সড়ক দুবছরে খানা-খন্দে ভরপুর

আপডেট সময় ০৫:২০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মুজগুন্নী মহাসড়ক, যা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে নতুন রাস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত, দু’বছরের মধ্যে আবার গর্ত ও জলাবদ্ধতায় ভরপুর হয়েছে।

স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২১ সালে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের মে মাসে প্রায় ৫.৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের সংস্কার সম্পন্ন হয়। সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, সঙ্গে নতুন ড্রেনের জন্য খরচ হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা।

কিন্তু নির্মাণকাজের মান ও নকশাগত জটিলতার কারণে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যাচ্ছে। জুলাই মাসে ১৪ দিন সড়কটি পানিতে তলিয়ে ছিল।

স্থানীয়রা জানান, ৫০০ শয্যার খুলনা মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যার খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালসহ প্রায় ৫০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ সড়কের ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি সড়কের পাশে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা অবস্থিত।

সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ কুদরতই খুদা বলেন, “অপরিকল্পিত নকশা ও নিম্নমানের কাজের কারণে ৫৫ কোটি টাকার বাজেট বৃথা গেছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের শাস্তি না হলে ভবিষ্যতেও অর্থ অপচয় হবে।”

কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, সড়কটি আরও উঁচু করা প্রয়োজন ছিল, যা না হওয়ায় কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমেছে এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মুজগুন্নী মহাসড়ক ও এম এ বারী সড়ককে মিলিয়ে নতুন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, যা দ্রুত সড়ক মেরামত ও স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করবে।