ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণ-অভ্যুত্থান দিবসে আলোচনা সভায় হট্টগোল ও ধস্তাধস্তি

রাহিম হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি::

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ মিনিট ধরে অনুষ্ঠান স্থগিত থাকে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলোচনা সভার এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য বিলুপ্ত জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদকে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। কিন্তু সেই মুহূর্তে তার বক্তব্যে বাধা দেন আরেক জুলাই আন্দোলনকর্মী ইসমাইল হক সিরাজী ও তার সমর্থকরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

ঘটনার জেরে এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয় এবং জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এবং আন্দোলনের আহত-নিহত পরিবারের সদস্যসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সাব্বির আহমেদ বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আহতদের তালিকায় ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ করায় একটি পক্ষ আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে আমাকে বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া হয়। এটি ছিল একটি অপ্রীতিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা।”

তিনি আরও বলেন, “জেলা প্রশাসন অনুষ্ঠানের আয়োজক। তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমি বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে হট্টগোলের মাধ্যমে পুরো আয়োজনকে বিতর্কিত করেছে, যা দুঃখজনক।”

অন্যদিকে ইসমাইল হক সিরাজী অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগপন্থী দোসরদের জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঞ্চে স্থান দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের বাদ দিয়ে পক্ষপাতমূলকভাবে আয়োজন পরিচালিত হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “২০২৩ সালের ৫ আগস্টের আগে একটি তালিকা তৈরি করা হলেও সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন করে নতুন তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে সাব্বির আহমেদকে বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১১:২২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
৫২৪ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণ-অভ্যুত্থান দিবসে আলোচনা সভায় হট্টগোল ও ধস্তাধস্তি

আপডেট সময় ১১:২২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ মিনিট ধরে অনুষ্ঠান স্থগিত থাকে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলোচনা সভার এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য বিলুপ্ত জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদকে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। কিন্তু সেই মুহূর্তে তার বক্তব্যে বাধা দেন আরেক জুলাই আন্দোলনকর্মী ইসমাইল হক সিরাজী ও তার সমর্থকরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

ঘটনার জেরে এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয় এবং জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এবং আন্দোলনের আহত-নিহত পরিবারের সদস্যসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সাব্বির আহমেদ বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আহতদের তালিকায় ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ করায় একটি পক্ষ আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে আমাকে বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া হয়। এটি ছিল একটি অপ্রীতিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা।”

তিনি আরও বলেন, “জেলা প্রশাসন অনুষ্ঠানের আয়োজক। তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমি বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে হট্টগোলের মাধ্যমে পুরো আয়োজনকে বিতর্কিত করেছে, যা দুঃখজনক।”

অন্যদিকে ইসমাইল হক সিরাজী অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগপন্থী দোসরদের জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঞ্চে স্থান দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের বাদ দিয়ে পক্ষপাতমূলকভাবে আয়োজন পরিচালিত হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “২০২৩ সালের ৫ আগস্টের আগে একটি তালিকা তৈরি করা হলেও সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন করে নতুন তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে সাব্বির আহমেদকে বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।