মাদকের ভয়াবহতা রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান খুলনার সেমিনারে
মাদক নিয়ন্ত্রণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, ঔষধ ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক সচেতনতামূলক সেমিনার। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে খুলনা বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় চর্চা ও নৈতিক শিক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব।
‘মাদক নিয়ন্ত্রণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, ঔষধ ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহসানুর রহমান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধে সামাজিক ঐক্য অপরিহার্য। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, পারিবারিকভাবেও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তারা বলেন, হোমিওপ্যাথির নামে কেউ যদি মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়, তাহলে সে চিকিৎসক নয়, সমাজের জন্য বিষফোঁড়া।
বক্তারা আরও বলেন, যার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করলে সমাজ থেকে মাদকসহ সব অনৈতিক কার্যকলাপ দূর করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও রোটারিয়ান ডা. সৈয়দ আবু সঈদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা জেলার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বিভাগীয় কার্যালয়ের গোয়েন্দা প্রধান শেখ ইফতেখার, কর্মকর্তা মো. উমায়ের, খুলনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এন এম শামিমুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ ডা. আনিসুর রহমান মিন্টু, খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল এবং কালের কণ্ঠ খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. জাকিরুল ইসলাম। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন-ডা. কাজী আব্দুল মান্নান, ডা. খায়রুল আলম, সমিতির সভাপতি ডা. মানিক লাল চন্দ্র, শিক্ষার্থী মোসা. খাদিজা আক্তার, ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. রেজওয়ান হোসেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন খুলনা হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবসায়ী ও চিকিৎসক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফারুক হোসাইন।
মূল প্রবন্ধে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয় তার মধ্যে ছিল-রাজনৈতিক নেতাদের মাদকসেবী ও মাদকব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া, সীমান্ত সিল করে মাদকের প্রবেশ ঠেকানো, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাদক থেকে বিরত রাখা, নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে সত্যিকারের মাদকমুক্ত রাখার ব্যবস্থা, মাদকের সহজলভ্যতা হ্রাসে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, মাদক উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করা।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব।