নিউইয়র্কে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলসহ চারজনকে গুলি করে হত্যা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মিডটাউনে একটি অফিস ভবনে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামসহ চারজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস. টিশ জানান, বন্দুকধারী হামলার পর চারজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে নিজেই আত্মহত্যা করে। হামলার পরপরই ৪৪ তলা ‘৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউ’ ভবনটিতে লকডাউন জারি করা হয়।
হামলাটি শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। কালো বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে এক বন্দুকধারী এম৪ রাইফেল নিয়ে ভবনের লবিতে প্রবেশ করে। সোজা ডান দিকে ঘুরে গুলি করেন অফ ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে। তিনি তখন পুলিশের পোশাকেই ছিলেন।
এরপর হামলাকারী এক নারী, নিরাপত্তারক্ষী ও আরেক ব্যক্তিকে গুলি করেন। লিফট থেকে নেমে আসা এক নারীকে তিনি গুলি না করে ছেড়ে দেন। পরে ৩৩ তলায় উঠে আরেক নারীকে গুলি করে নিজেই আত্মহত্যা করেন।
নিহত বন্দুকধারীর নাম শেন তামুরা (২৭)। তিনি লাস ভেগাসের বাসিন্দা এবং নেভাডায় বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারী। পুলিশ জানিয়েছে, তার মানসিক সমস্যার রেকর্ড রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি।
মাত্র ৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিন বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী গর্ভবতী, তিনি তৃতীয় সন্তানের অপেক্ষায় ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “তিনি সাহসের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দিদারুল ছিলেন একজন প্রকৃত হিরো—যিনি বেঁচেও ছিলেন হিরো, মৃত্যুও হয়েছে হিরো হিসেবে।”
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট