উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ এবং তাদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তালিকা তৈরিতে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার তাৎক্ষণিকতায় সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যালয়ের ভেতরে থাকা বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এই দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) স্কুলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমকে সভাপতি করে গঠিত কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা:
মোহাম্মদ জিয়াউল আলম-সভাপতি (অধ্যক্ষ), মো. মাসুদ আলম -উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন), খাদিজা আক্তার -প্রধান শিক্ষিকা, লুৎফুন্নেসা লোপা-কো-অর্ডিনেটর, মনিরুজ্জামান মোল্লা -অভিভাবক প্রতিনিধি (শিক্ষার্থী: যাইমা জাহান, ৪র্থ শ্রেণি), মারুফ বিন জিয়াউর রহমান ও মো. ভাসনিম ভূঁইয়া প্রতিক -দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কমিটিকে দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন, হতাহতদের পরিবারদের সঙ্গে যোগাযোগ, এবং তথ্য যাচাই করে নির্ভরযোগ্য তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, কমিটির প্রতিবেদন কেবল অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, প্রয়োজনে এটি সরকার, উদ্ধারকারী সংস্থা ও সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করা হবে।
ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট সদস্যদের ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে এবং সদস্যরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
তালিকা প্রস্তুত কমিটির বাইরে, দুর্ঘটনার উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম, অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি, নিরাপত্তা ঘাটতির মূল্যায়নসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও আলাদা নজরদারিতে রয়েছেন।
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার ভবনে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক দগ্ধ হন এবং পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়।
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু শিক্ষার্থী।
কমিটির কাজের মাধ্যমে নিখোঁজ ও আহতদের সঠিক তালিকা পাওয়া গেলে উদ্ধার, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ কার্যক্রমে গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।