নাম পরিবর্তন:
বাদ গেল শেখ হাসিনা ও পরিবারের নাম যুক্ত ১৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়
সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের ১৫টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ মোট ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনায় নাম পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৩ এপ্রিল। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬ মে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত আদেশ জারি করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকের সাইনবোর্ড, অফিসিয়াল নথি ও ওয়েবসাইটে সংশোধিত নাম প্রতিস্থাপন করতে হবে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।
নাম পরিবর্তিত কিছু প্রতিষ্ঠান-
বালিয়াকান্দি: ‘শেখ কামাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন থেকে ‘বালিয়াকান্দি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।
টুঙ্গিপাড়া: ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন থেকে ‘টুঙ্গিপাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।
আমতলী: ‘শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন থেকে ‘আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।
সাঁথিয়া: ‘শহীদ শেখ রাসেল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন থেকে ‘সাঁথিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।
ঠাকুরগাঁও: ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ এখন থেকে ‘ঠাকুরগাঁও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’।
অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর, শরীয়তপুর, যশোর, নওগাঁ, জামালপুর, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ—যেখানে একই ধরনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
নাম থেকে বাদ পড়েছে শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, ওয়াজেদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম খোকা, আবু শারাফ সাদেকসহ আরও কয়েকজন নেতার নাম।
এর আগেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান, ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৬টি মেডিকেল কলেজ এবং ১৪টি হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করেছে। সংশ্লিষ্ট নামগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম যুক্ত ছিল।
এই পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, যদিও সরকারিভাবে এখনো এ নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।