উপকূলীয় স্বাস্থ্যসেবায় উন্নয়ন দরকার: কয়রায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের দাবি
খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার দুর্গম ও নদী-বেষ্টিত অঞ্চলের মানুষের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল (রোববার) বেলা ১১টায় “উপকূল ও সুন্দরবন সংরক্ষণ আন্দোলন”-এর উদ্যোগে কয়রার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক ও সচেতন যুব সমাজের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কয়রার অধিকাংশ ইউনিয়ন নদীঘেরা এবং বর্ষা মৌসুমে বা জোয়ারের সময় এসব এলাকায় রোগী পরিবহন কঠিন হয়ে পড়ে। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক গুরুতর রোগীর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের পাদদেশে অবস্থিত দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নসহ উত্তর বেদকাশি ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকাই দুর্গম। এসব অঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম শাকবাড়িয়া, কয়রা ও কপোতাক্ষ নদীঘেঁষা বেড়িবাঁধ, যার অনেক স্থানে হেঁটে চলাও কষ্টকর। বর্ষায় নৌযান ছাড়া চলাচলের বিকল্প থাকে না।
স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, কোনো জরুরি চিকিৎসা কিংবা রোগী পরিবহনের ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় স্থানীয়দের একমাত্র ভরসা একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স, যা সময়মতো চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পারে।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপকূল ও সুন্দরবন সংরক্ষণ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, কয়রা প্রেসক্লাব সভাপতি সদর উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, মানবাধিকার ব্যুরো কয়রা উপজেলা সভাপতি তরিকুল ইসলাম, প্রথম আলো কয়রা বন্ধুসভার সভাপতি শিক্ষক মেসবাহউদ্দিন, কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দীন, কয়রা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, জলবায়ু পরিষদের সংগঠক নিরাপদ মুন্ডা এবং উপকূল আন্দোলনের সদস্য জি এম মোনায়েম, রাসেল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
প্রতিনিধিরা বলেন, উপকূলের মানুষের জীবন বাঁচাতে একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স এখন সময়ের দাবি। অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করেন তারা।