কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত
জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কালাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালের উপবৃত্তি বিতরণে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, কালাই উপজেলার ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৬৭ জন উপবৃত্তি সুবিধাভোগী অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্ট নম্বর বেআইনিভাবে পরিবর্তনের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আদেশ ২২ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বরখাস্তকালীন সময়ে মো. রফিকুল ইসলাম কেবল খোরাকি ভাতা (Subsistence Allowance) পাবেন; অন্য কোনো সুবিধা তিনি ভোগ করতে পারবেন না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে অটল। শিশু শিক্ষার উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহার অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বলেন, “শিক্ষা খাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। সরকারি অর্থের নয়-ছয়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, বরখাস্ত হওয়া প্রসঙ্গে মো. রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, “আমি সবকিছু নিয়ম মেনেই করেছি। এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা প্রমাণ করবো।”
উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা আদেশের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মো. রফিকুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন।