১০ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ
রাজশাহী নগরীতে ব্যবসায়ীর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ছিনতাইয়ের পরিকল্পনায় রিকশাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। অভিযুক্ত রিকশাচালক মাসুম (৩০) এক মাস ধরে প্রশিক্ষণ মহড়া নিয়েছে এবং ব্যবসায়ীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মাসুম। তার জবানবন্দিতে উঠে আসে, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার প্রামাণিকের দুই দিনের বিক্রির টাকা বাসায় থাকত-এই তথ্য জেনে ছিনতাইকারী চক্রটি রবিবার সকালে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোন রাস্তায় রিকশা চালাতে হবে, কোথায় দাঁড়াতে হবে-এসব বিষয়েও মাসুমকে এক মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “রিকশাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে ছিনতাইকারীরা পরিকল্পিতভাবে এই অপকর্ম ঘটায়। এক মাস ধরে তারা এলাকায় নজরদারি চালিয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, রিকশাচালকের জবানবন্দির ভিত্তিতে তদন্ত আরও গভীরে চলছে। এই ঘটনায় ছিনতাই চক্রের অন্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।