দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান অতিরিক্ত আইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ
দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ। সততা, মানবতা ও নিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি হয়ে উঠেছেন দেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র।
এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা তার কর্মজীবনে অর্জন করেছেন বহু রাষ্ট্রীয় সম্মান ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)-সেবা পদকে ভূষিত হন। এছাড়া দুইবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পদক এবং দুইবার আইজিপি ব্যাজও অর্জন করেছেন। কর্মক্ষেত্রে অসীম সততা ও শুদ্ধাচারের জন্য তিনি পেয়েছেন জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারও।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রথম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের ডিআইজি হিসেবেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে অতিরিক্ত আইজি পদে পদোন্নতি পেয়ে নৌপুলিশের প্রধানের দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত।
মানবিক কর্মকাণ্ডেও তিনি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। নিজ জন্মস্থান লক্ষণপুর গ্রামে বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন এতিমখানা ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখানকার শত শত এতিম ও দরিদ্র শিশু কুরআনের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। এছাড়া ‘সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট’-এর মাধ্যমে প্রায় ৫০০ পরিবারের মাঝে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করছেন তিনি।
করোনাকালে ‘মানবতার বন্ধনে রংপুর’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলে খাদ্য ও সেবা পৌঁছে দিয়েছেন দরিদ্র ও অসহায় মানুষের দোরগোড়ায়। রংপুরে ‘মানবতার বন্ধনে এতিমখানা ও মাদ্রাসা’ এবং ‘হেফজখানা’ পরিচালনার মাধ্যমে গরিব ও এতিম শিশুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করেছেন।
তার মানবিকতা ও সততার কারণে নিজ গ্রামে যেমন সম্মানিত, তেমনি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন দক্ষ ও বিশ্বস্ত কর্মকর্তা হিসেবেও পরিচিত। লক্ষণপুর গ্রামে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, শতাধিক মানুষের মুখে মুখে শুধুই প্রশংসা—“আলীম মাহমুদ একজন নম্র, সৎ, দানশীল ও মানবিক মানুষ। তিনি আমাদের গর্ব।”
সম্পদের বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রেখে তিনি জানান, দীর্ঘ চাকরি জীবনের বেতন, জাতিসংঘ মিশনের আয়, পাঠদানের সম্মানী ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তির সবই আয়কর নথি ও সরকারি ফাইলে অন্তর্ভুক্ত। পৈতৃক সম্পত্তি এখনো ভাগ হয়নি এবং পরিবারের কেউ অনটনে নেই।
সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলেও স্থানীয়দের মতে, এসব অপপ্রচার ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। তারা বলছেন, “একজন সৎ, পরোপকারী ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ মানুষকে নিয়ে অপপ্রচার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
অতিরিক্ত আইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ তার দায়িত্ব ও মানবিক দায়বদ্ধতা পালনের মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন দেশের এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। তার সততা, নিষ্ঠা, দানশীলতা ও দেশপ্রেম প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত।