ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবিতে কাল থেকে আমরণ অনশন

রবিউল হোসন খান, খুলনা জেলা প্রতিনিধি::

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে জানানো হয়েছে, কাল সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টা থেকে ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন শুরু হবে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার চত্বরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, “গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগতদের হামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে আহত হলেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদেরই নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।”

তারা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসের বাইরের একজন ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই আন্দোলনকারী। এসব ঘটনার পরও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েও কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা।

অন্যদিকে, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে একটি ক্ষুদ্র অংশ, যারা পুরো শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। শিক্ষকদের আহ্বান—আন্দোলনের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা হোক।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:২৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৫১৭ বার পড়া হয়েছে

কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবিতে কাল থেকে আমরণ অনশন

আপডেট সময় ০৬:২৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে জানানো হয়েছে, কাল সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টা থেকে ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন শুরু হবে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার চত্বরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, “গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগতদের হামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে আহত হলেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদেরই নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।”

তারা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসের বাইরের একজন ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই আন্দোলনকারী। এসব ঘটনার পরও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েও কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা।

অন্যদিকে, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে একটি ক্ষুদ্র অংশ, যারা পুরো শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। শিক্ষকদের আহ্বান—আন্দোলনের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা হোক।