বাঘায় হত্যা মামলার আসামি গিয়াস গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি লতিফুল ইসলাম ওরফে গিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল ২০২৫) রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর আশুলিয়া থানাধীন বলভদ্র এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজশাহী র্যাব-৫ এর মোল্লাপাড়া, হড়গ্রাম ক্যাম্পের একটি বিশেষ অভিযানিক দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃত গিয়াস বাঘা পৌরসভার মুর্শিদপুর এলাকার বাসিন্দা, জিন্নাত আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে চর চকরাজাপুর ইউনিয়নের সিকরামপুর মৌজার মাঠে গবাদি পশুর ঘাস কাটতে যান নিহত রফিকুল ইসলাম ওরফে শফিকুল (৩০)। সে সময় আসামি গিয়াস তার ভুট্টা ক্ষেতে ঘাস কাটতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে গিয়াস আরও ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া দিয়ে আঘাত করে। এতে শফিকুল গুরুতর জখম হয়ে মাঠেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান।
মাঠ পাহারাদাররা তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই গিয়াস পালিয়ে যায় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন।
নিহত শফিকুল চর চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী গ্রামের ফজলুল সেখের ছেলে। পেশায় দিনমজুর শফিকুল বাড়িতে গরু পালন করতেন। তিনি স্ত্রী, আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী এক ছেলে এবং এক বছর বয়সী মেয়েকে রেখে গেছেন।
ঘটনার পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে বাঘা থানায় গিয়াসকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, শফিকুল ছিলেন একজন পরিশ্রমী মানুষ। তার এই অকাল মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম আসাদুজ্জামান জানান, গিয়াসকে আদালতের মাধ্যমে বুধবার (১৬ এপ্রিল) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।