রামপালে ইয়াতিমখানার জমি দখল ও ভবন নির্মাণে বাধা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার প্রসাদনগরে আফাজউদ্দিন ইয়াতিমখানার জমি দখল ও ভবন নির্মাণে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় রামপাল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ইয়াতিমখানার সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা। এ সময় ইয়াতিমখানা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম মোল্লা জানান, উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের প্রসাদনগর গ্রামে আফাজউদ্দিন ১৯৯১ সালে ২৫ শতাংশ জমি দান করে ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাভ করে। পরে আরও কিছু দাতার মাধ্যমে ইয়াতিমখানার মোট জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ একর ৯৬ শতাংশ।
তবে বর্তমানে পুরো জমির দখল প্রতিষ্ঠানটির হাতে নেই। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জমির একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হলে গত ১২ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে মিলন শেখ, ইনসার আলী, রহিম শেখ, আজিজুল শেখসহ ১০-১২ জন ব্যক্তি এসে নির্মাণকাজে বাধা দেন। এছাড়া ইয়াতিমখানার ৮৯ শতাংশ জমি স্থানীয় প্রভাবশালী মেজবাহ উদ্দিন মুক্ত দখলে রেখেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা কেবল ইয়াতিমখানার জন্য দানকৃত জমি উদ্ধার করতে চাচ্ছি। জমির কাগজপত্র যদি আমাদের অনুকূলে না থাকে, আমরা কোন দাবি করব না। তবে যদি কাগজে আমাদের নামে থাকে, তাহলে সেটা ফিরিয়ে দেওয়াটাই ন্যায্য। আমরা এখন মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমি উদ্ধারে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় একটি মহল অসত্য ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এমনকি কিছু সাংবাদিকের মাধ্যমেও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মেজবাহ উদ্দিন মুক্ত বলেন, “৮৯ শতাংশ জমির টাকা হারির হিসেবে মসজিদ কমিটির কাছে জমা রয়েছে। আমি ও আমার মা এই ইয়াতিমখানার ডোনার। বর্তমান কমিটির অনিয়মের কারণে আমরা নতুন কমিটির দাবি জানিয়েছি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামীম ভাইয়ের মাধ্যমে এর সমাধান চাই। নতুন কমিটির মাধ্যমে ভবন নির্মাণ হলে তাতে কোনো আপত্তি নেই।”