সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৭ বারের মতো পিছিয়ে ২০২৫ সালের ২১ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এই নতুন দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।

শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৩ বছরেও আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংস্থাগুলো।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। এ ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে। দুই মাসের বেশি সময়েও ডিবি তদন্তে অগ্রগতি না দেখাতে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তবে দীর্ঘদিনেও তেমন কোনো অগ্রগতি না থাকায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট র‌্যাবকে তদন্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। সেইসঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।

এই দীর্ঘসূত্রতায় হতাশা প্রকাশ করেছে সাংবাদিক মহল ও নিহতদের পরিবার। তাঁরা দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।