রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে কাটছাঁট করছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন কমানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই ঢাকা সফরে আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। সফরে তারা বাংলাদেশ সরকারকে এই বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, আপাতত অর্থায়ন পুরোপুরি বন্ধ না করলেও ধাপে ধাপে তা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সম্প্রতি ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে দেশটি, ভবিষ্যতে অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
চার দিনের সফরে আগামীকাল (১৫ এপ্রিল) ঢাকায় আসছেন মার্কিন দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক। তার সঙ্গে থাকবেন পূর্ব ও প্যাসিফিক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এন্ড্রু হেরাপ ও মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন।
ঢাকায় অবস্থানকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় থাকবে রোহিঙ্গা ইস্যু, মিয়ানমারের নির্বাচন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, অভিবাসন ইত্যাদি।
ঢাকা-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, আলোচনার অন্যতম ইস্যু হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ। এতে রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছে সরকার। পারস্পরিক বাণিজ্য বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি শুল্ক হ্রাসের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
এছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি, রাখাইন রাজ্য ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতেও আলোচনার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের চীন ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের অবস্থান জানাবে এবং অর্থায়ন কমানোর বিষয়টি স্পষ্ট করবে। পাশাপাশি তারা চায় বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিষয়ে একটি কৌশলগত অবস্থান নিক।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৪০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে। তবে এখন এই সহায়তায় কাটছাঁটের ইঙ্গিত মিলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে।