ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়টা কীভাবে কাটালেন ইমরান হাশমি?

চেকপোস্ট প্রতিবেদক::

একটি ঘটনা মুহূর্তেই পাল্টে দিতে পারে পুরো জীবন। বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমির ক্ষেত্রেও ঘটেছিল এমনই এক কঠিন বাস্তবতা। ২০১৪ সালে তার পুত্র আয়ানের শরীরে ধরা পড়ে ক্যানসার। মাত্র কদিনের ব্যবধানে ভেঙে পড়ে পুরো পরিবার।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের জীবনের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা শেয়ার করেছেন ইমরান। তিনি বলেন, “মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু বদলে গিয়েছিল। যেদিন প্রথম জানতে পারি আয়ান ক্যানসারে আক্রান্ত, সেই দিনটা আজও স্মরণ করতে চাই না।”

ইমরান জানান, সেই দুঃসময়ে তার স্ত্রী ছিলেন সবচেয়ে বড় সাহসের উৎস। তবে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে ছেলে আয়ানকেও দূরে রাখেননি তিনি। বরং নিজের লেখা বইয়ে সেই সময়ের প্রতিটি কঠিন মুহূর্ত তুলে ধরেছেন, যাতে তার সন্তানও ভবিষ্যতে এসব জানে এবং জীবনের লড়াইয়ে শক্ত থাকতে শেখে।

তিনি আরও জানান, “পনেরো বছর বয়স হয়েছে এখন আয়ানের। জীবনের অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে সে। এই সময়টা কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়।”

একদিন দুপুরে পরিবারের সঙ্গে খেতে বসেছিলেন ইমরান। হঠাৎই ছেলের শরীরে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ নজরে আসে তার। মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে মারণ ব্যাধি।

টানা পাঁচ বছর ধরে সেই কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করেছেন তারা। চিকিৎসার পর এখন পুরোপুরি সুস্থ আয়ান। তবে ইমরানের মতে, “সেই ভয়ংকর সময় আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ছিল সেটা।”

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
৫২৩ বার পড়া হয়েছে

জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়টা কীভাবে কাটালেন ইমরান হাশমি?

আপডেট সময় ০৯:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

একটি ঘটনা মুহূর্তেই পাল্টে দিতে পারে পুরো জীবন। বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমির ক্ষেত্রেও ঘটেছিল এমনই এক কঠিন বাস্তবতা। ২০১৪ সালে তার পুত্র আয়ানের শরীরে ধরা পড়ে ক্যানসার। মাত্র কদিনের ব্যবধানে ভেঙে পড়ে পুরো পরিবার।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের জীবনের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা শেয়ার করেছেন ইমরান। তিনি বলেন, “মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু বদলে গিয়েছিল। যেদিন প্রথম জানতে পারি আয়ান ক্যানসারে আক্রান্ত, সেই দিনটা আজও স্মরণ করতে চাই না।”

ইমরান জানান, সেই দুঃসময়ে তার স্ত্রী ছিলেন সবচেয়ে বড় সাহসের উৎস। তবে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে ছেলে আয়ানকেও দূরে রাখেননি তিনি। বরং নিজের লেখা বইয়ে সেই সময়ের প্রতিটি কঠিন মুহূর্ত তুলে ধরেছেন, যাতে তার সন্তানও ভবিষ্যতে এসব জানে এবং জীবনের লড়াইয়ে শক্ত থাকতে শেখে।

তিনি আরও জানান, “পনেরো বছর বয়স হয়েছে এখন আয়ানের। জীবনের অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে সে। এই সময়টা কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়।”

একদিন দুপুরে পরিবারের সঙ্গে খেতে বসেছিলেন ইমরান। হঠাৎই ছেলের শরীরে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ নজরে আসে তার। মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে মারণ ব্যাধি।

টানা পাঁচ বছর ধরে সেই কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করেছেন তারা। চিকিৎসার পর এখন পুরোপুরি সুস্থ আয়ান। তবে ইমরানের মতে, “সেই ভয়ংকর সময় আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ছিল সেটা।”