ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার খাতের সংস্কারে ৩৭ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ: আইএফসি

চেকপোস্ট প্রতিবেদক::

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চারটি কৌশলগত খাতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। এমনটি জানাচ্ছে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। তাদের মতে, প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করা গেলে ২০২৫ সালের মধ্যেই দেশে তৈরি হতে পারে ৩৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান।

আইএফসির ‘কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (সিপিএসডি)’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চার খাত হলো—আবাসন, পেইন্ট অ্যান্ড ডাইস, তৈরি পোশাকশিল্প এবং ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এই খাতগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে বিনিয়োগের পথে বড় পাঁচটি বাধা রয়েছে—বিদ্যুতের সমস্যা, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য এবং উচ্চ করহার। এই প্রতিবন্ধকতা দূর না করা গেলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে (৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন। আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে হলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড—বিশেষ করে পরিবেশ ও শ্রম সম্পর্কিত—পরিপালন জরুরি। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্কহার বাড়বে। ফলে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি খাতে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি ও উৎপাদন পদ্ধতির উন্নয়ন প্রয়োজন।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এই প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো সরকারের জন্য সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা। এগুলো বাস্তবায়ন করলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দেশের বেসরকারি খাত আরও গতিশীল হবে।”

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
৫২৩ বার পড়া হয়েছে

চার খাতের সংস্কারে ৩৭ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ: আইএফসি

আপডেট সময় ০৯:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চারটি কৌশলগত খাতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। এমনটি জানাচ্ছে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। তাদের মতে, প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করা গেলে ২০২৫ সালের মধ্যেই দেশে তৈরি হতে পারে ৩৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান।

আইএফসির ‘কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (সিপিএসডি)’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চার খাত হলো—আবাসন, পেইন্ট অ্যান্ড ডাইস, তৈরি পোশাকশিল্প এবং ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এই খাতগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে বিনিয়োগের পথে বড় পাঁচটি বাধা রয়েছে—বিদ্যুতের সমস্যা, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য এবং উচ্চ করহার। এই প্রতিবন্ধকতা দূর না করা গেলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে (৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন। আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে হলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড—বিশেষ করে পরিবেশ ও শ্রম সম্পর্কিত—পরিপালন জরুরি। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্কহার বাড়বে। ফলে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি খাতে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি ও উৎপাদন পদ্ধতির উন্নয়ন প্রয়োজন।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এই প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো সরকারের জন্য সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা। এগুলো বাস্তবায়ন করলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দেশের বেসরকারি খাত আরও গতিশীল হবে।”