বাংলাদেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু আজ
আজ, বুধবার (৯ এপ্রিল), বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মহাকাশভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সেবা।
রাজধানী ঢাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে’ অংশগ্রহণকারীরা এই সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
গত ২৯ মার্চ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয়, যা প্রতিষ্ঠানটির জন্য ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি প্রদান করে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে এনজিএসও লাইসেন্স প্রয়োজন হবে, যার অনুমোদন ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, “আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছি এবং স্টারলিংকের প্রযুক্তি ইতিবাচকভাবে যাচাই করা হয়েছে।”
২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে স্টারলিংকের প্রযুক্তি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এরপর, ১৩ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদ ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর পরবর্তী সময়ে স্টারলিংকের পরিসেবা চালু করতে কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল উন্নয়ন নতুন যুগে প্রবেশ করবে। স্পেসএক্সের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। এটি বাংলাদেশে চালু হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমবে। একইসঙ্গে দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি যোগাযোগ স্থাপনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
এছাড়া, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো ভুটানে বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিংকের সেবা চালু হয়েছে। এবার বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক সংযোগ।