ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রেফতার সোহাগ পেশায় প্রতারক

ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যা নয়, প্রতারণাই ছিল উদ্দেশ্য

স্টাফ রিপোর্টার::

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা সোহাগ মিয়া(৩২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফলে হত্যার হুমকি নাটকের অবসান হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সিলেট শহরের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চুনারুঘাট থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি টিম যৌভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মোবারকপুরের মন্তাজ মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন এক প্রেসব্রিফিং কালে এই তথ্য জানান।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য উদঘাটন করা হবে। নবীগঞ্জের একটি প্রতারণার মামলায় সোগাগ মিয়াকে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে ওই মামলার পলাতক আসামী। মৌলভীবাজারেও তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার জানান, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপিকে অজ্ঞাতনামা স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি মোবাইল ফোনে জানায় তার জীবনের ঝুকি আছে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য তার কাছে রয়েছে। এ ব্যাপারে ২৮ জুন চুনারুঘাট থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়। এছাড়াও গত ২৯ জুন রাতে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় ব্যারিস্টার সুমন নিজে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় তার নির্বাচনী এলাকা চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার সরকারি মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান, ‘আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিনদিন আগে ৪-৫ জনের একটি দল নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।’ তিনি জিডিতে আরো উল্লেখ করেন, ‘তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

পরে পুলিশ,ডিবি ও সিটিটিসি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করে। পুলিশকে সোহাগ মিয়া জানায়, সে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। ২০১১ সালে কাজের জন্য বিদেশ যায়।২০১৮ সালে দেশে আসে। দালালের মাধ্যমে পর্তুগাল পাঠাবে বলে তার এলাকার ১২জনের কাছ থেকে ৮/১০ লাখ টাকা করে নিয়ে আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে দেশে এসে টাকার অভাবে হ্যাকার হওয়ার চেষ্টা করে এবং ইন্টারনেট হতে হ্যাকিং এর বিষয়ে ধারনা নিতে গিয়ে ডার্ক ওয়েব এর সাথে পরিচয় হয়। সে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভারতীয় একটি গল্প পড়ে। যাতে একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে তার জীবনের হুমকি আছে মর্মে তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমের্ অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি তার নজরে আসে। পরে সে এই গল্পের আলোকে এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কৌশল কাটিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু এমপি ও তার পিএসএর কোন নাম্বার না থাকায় ওয়েবসাইট থেকে চুনারুঘাট থানার ওসির নাম্বার সংগ্রহ করে হত্যার হুমকির ম্যাসেজ প্রেরণ করে এবং এমপি ব্যারিস্টার সুমনের সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে। পরে ওসির মাধ্যমে সে ব্যারিস্টার সুমনের সাথে কথা বলে সে তাকে জানায় ৪/৫জনের একটি দল তাকে হত্যা করার কিলিং মিশনে নেমেছে। তার ইচ্ছা ছিল এমপি সুমন অথবা তার পিএস তার সাথে যোগাযোগ করে তথ্য নিতে আসবে তখন সে মোটা অংকের টাকা দাবী করবে। কিন্তু এমপি সুমন বিষয়টি জানার পর ফেইসবুক লাইভে এসে প্রতিকার চান এবং জিডি করেন। এতে করে তার নির্বাচনী এলাকায় শুরু হয় আন্দোলন। পরে সোহাগ মিয়া ভয় পেয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যায়। সেখাতে তাকে অনুসরন করা হচ্ছে বুছতে পেরে সিলেটে চলে আসে। পরে নবীগঞ্জের একটি মামলার সূত্র ধরে তার পাসপোর্ট পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, সোহাগ মিয়া একজন প্রতারণ ও অনলাইন জুয়াড়ী। তার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানা ও মৌলভীবাজারের রাজনগর থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। সে দুটি বিবাহ করে এবং একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রীদের সাথে তার পারিবারিক কলহ তাকে তারা তাদের পিত্রালয়ে রয়েছে। অভাব অনটন ও উচ্ছাকাঙ্খা থেকেই লোকজনকে বিদেশে পাঠানোর জন্য টাকা আত্মসাৎ করে। এই প্রতারকের সাথে আর কেউ জড়িত নেই বলে পুলিশ সুপার জানান। এই হুমকিকে কেন্দ্র করে দুইদিন আগে ব্যারিস্টার সুমনের জন্য গানম্যান নিয়োগ করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এই গানম্যান অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, আপাতত গানম্যান থাকবে। পরে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার সুমন চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:২০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

গ্রেফতার সোহাগ পেশায় প্রতারক

ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যা নয়, প্রতারণাই ছিল উদ্দেশ্য

আপডেট সময় ০৬:২০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা সোহাগ মিয়া(৩২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফলে হত্যার হুমকি নাটকের অবসান হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সিলেট শহরের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চুনারুঘাট থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি টিম যৌভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মোবারকপুরের মন্তাজ মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন এক প্রেসব্রিফিং কালে এই তথ্য জানান।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য উদঘাটন করা হবে। নবীগঞ্জের একটি প্রতারণার মামলায় সোগাগ মিয়াকে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে ওই মামলার পলাতক আসামী। মৌলভীবাজারেও তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার জানান, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপিকে অজ্ঞাতনামা স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি মোবাইল ফোনে জানায় তার জীবনের ঝুকি আছে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য তার কাছে রয়েছে। এ ব্যাপারে ২৮ জুন চুনারুঘাট থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়। এছাড়াও গত ২৯ জুন রাতে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় ব্যারিস্টার সুমন নিজে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় তার নির্বাচনী এলাকা চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার সরকারি মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান, ‘আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিনদিন আগে ৪-৫ জনের একটি দল নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।’ তিনি জিডিতে আরো উল্লেখ করেন, ‘তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

পরে পুলিশ,ডিবি ও সিটিটিসি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করে। পুলিশকে সোহাগ মিয়া জানায়, সে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। ২০১১ সালে কাজের জন্য বিদেশ যায়।২০১৮ সালে দেশে আসে। দালালের মাধ্যমে পর্তুগাল পাঠাবে বলে তার এলাকার ১২জনের কাছ থেকে ৮/১০ লাখ টাকা করে নিয়ে আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে দেশে এসে টাকার অভাবে হ্যাকার হওয়ার চেষ্টা করে এবং ইন্টারনেট হতে হ্যাকিং এর বিষয়ে ধারনা নিতে গিয়ে ডার্ক ওয়েব এর সাথে পরিচয় হয়। সে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভারতীয় একটি গল্প পড়ে। যাতে একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে তার জীবনের হুমকি আছে মর্মে তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমের্ অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি তার নজরে আসে। পরে সে এই গল্পের আলোকে এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কৌশল কাটিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু এমপি ও তার পিএসএর কোন নাম্বার না থাকায় ওয়েবসাইট থেকে চুনারুঘাট থানার ওসির নাম্বার সংগ্রহ করে হত্যার হুমকির ম্যাসেজ প্রেরণ করে এবং এমপি ব্যারিস্টার সুমনের সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে। পরে ওসির মাধ্যমে সে ব্যারিস্টার সুমনের সাথে কথা বলে সে তাকে জানায় ৪/৫জনের একটি দল তাকে হত্যা করার কিলিং মিশনে নেমেছে। তার ইচ্ছা ছিল এমপি সুমন অথবা তার পিএস তার সাথে যোগাযোগ করে তথ্য নিতে আসবে তখন সে মোটা অংকের টাকা দাবী করবে। কিন্তু এমপি সুমন বিষয়টি জানার পর ফেইসবুক লাইভে এসে প্রতিকার চান এবং জিডি করেন। এতে করে তার নির্বাচনী এলাকায় শুরু হয় আন্দোলন। পরে সোহাগ মিয়া ভয় পেয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যায়। সেখাতে তাকে অনুসরন করা হচ্ছে বুছতে পেরে সিলেটে চলে আসে। পরে নবীগঞ্জের একটি মামলার সূত্র ধরে তার পাসপোর্ট পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, সোহাগ মিয়া একজন প্রতারণ ও অনলাইন জুয়াড়ী। তার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানা ও মৌলভীবাজারের রাজনগর থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। সে দুটি বিবাহ করে এবং একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রীদের সাথে তার পারিবারিক কলহ তাকে তারা তাদের পিত্রালয়ে রয়েছে। অভাব অনটন ও উচ্ছাকাঙ্খা থেকেই লোকজনকে বিদেশে পাঠানোর জন্য টাকা আত্মসাৎ করে। এই প্রতারকের সাথে আর কেউ জড়িত নেই বলে পুলিশ সুপার জানান। এই হুমকিকে কেন্দ্র করে দুইদিন আগে ব্যারিস্টার সুমনের জন্য গানম্যান নিয়োগ করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এই গানম্যান অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, আপাতত গানম্যান থাকবে। পরে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার সুমন চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।