মানিকগঞ্জে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৮) কে ঘরে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়েটি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছে। তাকে রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মার্চ রাতে হৃদয় হোসেন নামে এক ব্যক্তি মেয়েটিকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করে শিবালয় উপজেলার একটি কক্ষে আটকে রাখে। এরপর সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা হয়। মেয়েটি পালানোর চেষ্টা করলে হৃদয় তাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এভাবে এক সপ্তাহ ধরে মেয়েটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
১৯ মার্চ মেয়েটির ভাই খবর পেয়ে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তিনি মামলাটি দায়ের করেন এবং মেয়েটি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলেন, “অপরাধমূলক সহিংসতা ও ভয়ভীতি তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে, ফলে তার মানসিক ভারসাম্য হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।”
মামলায় আসামি হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবে তার দুই ভাই জসিম উদ্দিন ও সুজন মিয়া পলাতক। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আগামীকাল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়েটির মা বলেছেন, “আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করলো। নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়েটা পাগল হয়ে গেছে। যারা আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।”
এই নৃশংস ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।