কেসিসির সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হল
খুলনা সিটি করপোরেশনে সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির এক সভা মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসির প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার। কেসিসির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে “স্থানীয় (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪” এর ধারার ২৫ (ক) (২) এর আলোকে সরকার কর্তৃক এ কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় মহানগরীর জলাশয় সংরক্ষণের জন্য ল্যান্ডস্কেপিং ও ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ, উন্নয়ন প্রকল্পের সার্ভে ও ডিজাইন প্রণয়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ডিসিপ্লিনকে সম্পৃক্তকরণ, আলুতলা ও লবনচরার স্লুইচগেট ও পাম্প হাউজ স্থাপনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, ডাকবাংলা মোড়ে কেসিসির অংশের জায়গায় অস্থায়ী বন্দোবস্ত নবায়ন, কে-রোডের পশ্চিম পাশের মার্কেটের একতলা অংশ উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া সভায় ২২টি মোড় আধুনিকায়নের কাজ এস্টিমেট মূল্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে সংশোধনসহ নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ড্রেনের চলমান কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কেসিসির প্রশাসক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে তিনি মশক নিয়ন্ত্রণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দায়িত্ব পালনে কারো বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ পেলে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন।
কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা আক্তার বুশরা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনূর জাহানসহ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা ওয়াসা, বিটিসিএল, বন বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ, প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা খুলনা প্রতিনিধি এবং কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।