জামালপুর জনস্বাস্থ্যের কোটিপতি অফিস সহকারী হোয়াইট বাবুই ছায়া নির্বাহী
শেখ হাসিনার জামানায় গোপালগঞ্জের পরই বেশি বরাদ্দ জামালপুরে। ওই বরাদ্দের বেশিরভাগ আবার হলো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে। হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আর শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়েছে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানে।
অনেক ঠিকাদার শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, আবার অনেকে সহায়সম্বল হারিয়েছেন এখানে। রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ব্যবহৃত হয়েছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে, ব্যাপক তছরুপ হয়েছে এখানে। সরকারি বিধিভঙ্গই নিয়মে পরিণত হয়েছে। এখানেই হরণ করা হয়েছে অনেক নারীর সম্ভ্রম। আর ছাপোষা অফিস সহকারী থেকে অর্ধশত কোটিপতি বনে গেছেন এই অফিসে অপকর্ম করেই।
জামালপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের গাড়ি চালক ছিলেন আব্দুল হালিম। তার ছেলে জাহাঙ্গীর কবির বাবু, যিনি বর্তমানে অফিস সহকারী, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার বিস্তৃত প্রভাব বিস্তারের পেছনে রয়েছে অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের ছায়া।
অধিদফতরের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ বণ্টন, টেন্ডার ও কাজ বরাদ্দে তার হাত থাকে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি বিশাল সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছেন। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায়ও যুক্ত হয়েছেন।
গভীর রাতে অফিসে নারী সহকর্মীদের ডেকে আনা, প্রশিক্ষণের নামে নারীদের যৌন হয়রানি করা, চাকরির টোপ দিয়ে নিরীহ মেয়েদের সর্বনাশ করার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধের কারণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের এই অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা প্রকাশ করা হবে।