ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাধবপুর থানার নতুন আতঙ্ক এসআই মিজান ভূইয়া

স্টাফ রিপোর্টার::

হাতে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও আসামী না ধরে উল্টো মামলা বাদিকেই হুমকি দিচ্ছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার মিজান ভূইয়া নামে এক সাব ইন্সপেক্টর (এসআই)।

সূত্র জানায়, মাধবপুর বাজারে আবু তালেব নামে এক সবজি ব্যবসায়ী একজন আসামি বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে থানায় এটি এফআইআর করা হয়।কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই এসআই আসামি গ্রেফতার না করে উল্টো বাদিকেই হয়রানি ও হুমকি দিচ্ছেন প্রকাশ্যে সবার সামনে।এ নিয়ে বাদী আবু তালেন থানার তদন্ত ওসির আতিকুর রহমানের কাছে মৌখিক অভিযোগও দিয়েও কোন ব্যবস্থা গ্রহন হয়নি।

এ ব্যাপারে এসআই মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তদন্ত ছাড়া নাকি এফআইআরের আসামী গ্রেফতার করা যায় না। এছাড়া মামলাটি ভিত্তিহীন সেজন্য আসামি ধরেননি তিনি । তবে এফআইআরের ওয়ারেন্টিট আসামি বিনাতদন্তে ধরা বা গ্রেপ্তার করা যায় না একথার আইনি ভিত্তি কি জানতে চাইলে এর কোন জবাব দিতে পারেননি ওই এসআই।

অন্যদিকে স্থানীয় মাদক কারবারীদের সহায়তা করা ও তাদের কাছ থেকে গোপন আর্থিক লেনদেনের চাঞ্চল্যকর ভিডিও এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।ওই ভিডিওর সত্যতা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে ওই এসআইই স্থানীয় মাদক কারবারি রমজান মিয়ার কাছ থেকে মাসোয়ারা গ্রহণ করেন ও করছে।তাছাড়া এলাকাবাসী আরো জানান,নিয়মিত সে মাদককারবারিদের সাথে মিলিত হয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকেন থাকেন।ভয়ে কেউ মুখ খুলেন না।তার সহায়তায় ঢাকাগামী দূরপাল্লার বাসে গাজার চালান তুলে দেন মাদক কারবারীরা।এ নিয়েও একটি ছবি রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।

সম্প্রতি স্থানীয় আন্দিউরা ইউপির মীরনগর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যাটারি চোর সিন্ডিকেটের হুতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের তদন্ত পান ওই এসআই মিজান ভূইয়া। কিন্তু তিনি অভিযোগ তদন্তেও না করে উল্টো বাদী নিরীহ কৃষক আবু তাহেরকেই হয়রানি করেন।এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ব্যাটারি জব্দ করেনি ওই এসআই।মাধবপুর থানা গেটের সামনে তিনি বাদী আবু তাহেরকে হেনস্তা করেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় মীরনগর গ্রামের একাধিক নিরীহ ব্যবসায়ীদের ও কৃষকদের মাদক কারবারীর অপবাদ দিয়ে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ভুক্তভোগী কয়েকজন গনমাধ্যমে সামনে নিয়ে বক্তব্যও প্রদান করেছেন।

গোপন সূত্রে জানায়,ঢাকা মেট্রো গ ২১-৮২৪০ নাম্বারের একটি বিলাসবহুর প্রাইভেটকার ও একটি ব্র্যান্ডেড মোটরসাইকেল থানায় রেখে ব্যবহার করেন ওই এসআই। গাড়ি দুটি বৈধতা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন মাদক কারবারিরা তাকে উপহার দিয়েছে গাড়ি দুইটি।গাড়ি দুটি এর কাগজপত্র সঠিক নেই। মোটরসাইকেলটি বৈধভাবে কেনা হয়নি। চোরাই মোটরসাইকেল বলে জানা যায়।

অন্যদিকে মাধবপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর কালবেলা সাংবাদিক মুজাহিদ মসির আসামির মামলাও তদন্ত কর্মকর্তা সে।তদন্ত চলাকালীন সময়ে সে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। সে কখনো বলছে পরীক্ষা কেন্দ্রের নকল হলে সাংবাদিক গিয়ে নিউজ করবেই এতে কোন দোষ নেই।এই ধরনের মামলায় সাংবাদিকের কিছুই হবে না।আবার কাউকে কাউকে বলছেন চার্জশিটে এমন লেখা দেবো যে সাংবাদিকগিরি ছুটে যাবে।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে ও সাংবাদিক হয়রানির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তদন্ত চলার সত্ত্বেও নিয়ে ওই এসআইয়ের এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।পুলিশ পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্তা ও বিশ্বাস কমছে।ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে পুলিশের।

এসআই মিজান ভুইয়ার এসব অনিয়ম ও বেপরোয়া আচরন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেনের আমলে দিলে বিষয়টি ২৮ জুন থেকে তার একটি তদন্ত টিম এসবের অনুসন্ধান ও সত্যতা খুজছেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক মাধবপুর থানা একজন কর্মকর্তা জানান,পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরদের কথাবার্তা ও চলাফেরায় বিশেষ করে তদন্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়। তবে এসআই মিজানের কর্মকান্ড নেতিবাচক ও নজিরবিহীন যা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৭:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
৫৪১ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুর থানার নতুন আতঙ্ক এসআই মিজান ভূইয়া

আপডেট সময় ০৭:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

হাতে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও আসামী না ধরে উল্টো মামলা বাদিকেই হুমকি দিচ্ছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার মিজান ভূইয়া নামে এক সাব ইন্সপেক্টর (এসআই)।

সূত্র জানায়, মাধবপুর বাজারে আবু তালেব নামে এক সবজি ব্যবসায়ী একজন আসামি বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে থানায় এটি এফআইআর করা হয়।কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই এসআই আসামি গ্রেফতার না করে উল্টো বাদিকেই হয়রানি ও হুমকি দিচ্ছেন প্রকাশ্যে সবার সামনে।এ নিয়ে বাদী আবু তালেন থানার তদন্ত ওসির আতিকুর রহমানের কাছে মৌখিক অভিযোগও দিয়েও কোন ব্যবস্থা গ্রহন হয়নি।

এ ব্যাপারে এসআই মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তদন্ত ছাড়া নাকি এফআইআরের আসামী গ্রেফতার করা যায় না। এছাড়া মামলাটি ভিত্তিহীন সেজন্য আসামি ধরেননি তিনি । তবে এফআইআরের ওয়ারেন্টিট আসামি বিনাতদন্তে ধরা বা গ্রেপ্তার করা যায় না একথার আইনি ভিত্তি কি জানতে চাইলে এর কোন জবাব দিতে পারেননি ওই এসআই।

অন্যদিকে স্থানীয় মাদক কারবারীদের সহায়তা করা ও তাদের কাছ থেকে গোপন আর্থিক লেনদেনের চাঞ্চল্যকর ভিডিও এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।ওই ভিডিওর সত্যতা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে ওই এসআইই স্থানীয় মাদক কারবারি রমজান মিয়ার কাছ থেকে মাসোয়ারা গ্রহণ করেন ও করছে।তাছাড়া এলাকাবাসী আরো জানান,নিয়মিত সে মাদককারবারিদের সাথে মিলিত হয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকেন থাকেন।ভয়ে কেউ মুখ খুলেন না।তার সহায়তায় ঢাকাগামী দূরপাল্লার বাসে গাজার চালান তুলে দেন মাদক কারবারীরা।এ নিয়েও একটি ছবি রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।

সম্প্রতি স্থানীয় আন্দিউরা ইউপির মীরনগর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যাটারি চোর সিন্ডিকেটের হুতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের তদন্ত পান ওই এসআই মিজান ভূইয়া। কিন্তু তিনি অভিযোগ তদন্তেও না করে উল্টো বাদী নিরীহ কৃষক আবু তাহেরকেই হয়রানি করেন।এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ব্যাটারি জব্দ করেনি ওই এসআই।মাধবপুর থানা গেটের সামনে তিনি বাদী আবু তাহেরকে হেনস্তা করেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় মীরনগর গ্রামের একাধিক নিরীহ ব্যবসায়ীদের ও কৃষকদের মাদক কারবারীর অপবাদ দিয়ে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ভুক্তভোগী কয়েকজন গনমাধ্যমে সামনে নিয়ে বক্তব্যও প্রদান করেছেন।

গোপন সূত্রে জানায়,ঢাকা মেট্রো গ ২১-৮২৪০ নাম্বারের একটি বিলাসবহুর প্রাইভেটকার ও একটি ব্র্যান্ডেড মোটরসাইকেল থানায় রেখে ব্যবহার করেন ওই এসআই। গাড়ি দুটি বৈধতা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন মাদক কারবারিরা তাকে উপহার দিয়েছে গাড়ি দুইটি।গাড়ি দুটি এর কাগজপত্র সঠিক নেই। মোটরসাইকেলটি বৈধভাবে কেনা হয়নি। চোরাই মোটরসাইকেল বলে জানা যায়।

অন্যদিকে মাধবপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর কালবেলা সাংবাদিক মুজাহিদ মসির আসামির মামলাও তদন্ত কর্মকর্তা সে।তদন্ত চলাকালীন সময়ে সে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। সে কখনো বলছে পরীক্ষা কেন্দ্রের নকল হলে সাংবাদিক গিয়ে নিউজ করবেই এতে কোন দোষ নেই।এই ধরনের মামলায় সাংবাদিকের কিছুই হবে না।আবার কাউকে কাউকে বলছেন চার্জশিটে এমন লেখা দেবো যে সাংবাদিকগিরি ছুটে যাবে।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে ও সাংবাদিক হয়রানির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তদন্ত চলার সত্ত্বেও নিয়ে ওই এসআইয়ের এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।পুলিশ পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্তা ও বিশ্বাস কমছে।ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে পুলিশের।

এসআই মিজান ভুইয়ার এসব অনিয়ম ও বেপরোয়া আচরন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেনের আমলে দিলে বিষয়টি ২৮ জুন থেকে তার একটি তদন্ত টিম এসবের অনুসন্ধান ও সত্যতা খুজছেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক মাধবপুর থানা একজন কর্মকর্তা জানান,পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরদের কথাবার্তা ও চলাফেরায় বিশেষ করে তদন্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়। তবে এসআই মিজানের কর্মকান্ড নেতিবাচক ও নজিরবিহীন যা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করছে।