প্রবাসে লোক নেওয়ার নামে প্রতারনা সহ মা ও মেয়ের নানা অপকর্ম
মাধবপুরে একাধিক বিয়েসহ স্বামীর গোপন অঙ্গ কেটে ফেলায় পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের
হবিগঞ্জের মাধবপুরে মা ও মেয়ের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন একজন ভুক্তভোগী। মাধবপুর বাজারের র্পালারের ব্যবসার আড়ালে মা ও মেয়ের নানা অপকর্মের বিস্তাড়িত তুলে ধরেন অভিযোগে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই মা মেয়ে একাধিক বিয়ে করে প্রতারনা করা, বিদেশ লোক পাঠানের নামে টাকা আত্মসাত । এর মধ্যে ওই মা ও মেয়ে সম্প্রতি ২ বার কারাভোগ করেছে। মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের মাতু মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ সালমা বেগম ওরফে বকুল ও তার মেয়ে মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জোনাকি মাধবপুর বাজারে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে পার্লারের ব্যবসা শুরু করেন ( অঙ্গসাজ বিউটি পার্লার) । এই । পার্লারের ব্যবসার ফাঁকে বিভিন্ন ছেলেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলত মাতু মিয়ার মেয়ে মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস জোনাকি । বিশেষ করে সামাজের উচ্চবিত্ত , ব্যবসায়ী, প্রবাসীদের টার্গেট করা হত। অবশেষে জোনাকি টার্গেট করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের শশই গ্রামের রাষ্টু মিয়ার ছেলে প্রবাসী হাবিব মিয়াকে। এক সময় হাবিব কে প্রেমের জালে ফেলে বিয়েও করে জোনাকি।
হাবিব মিয়া প্রেমের টানে এক বছর আগে দেশে চলে আসেন। দেশের আসার পর হাবিব চলে যায় জোনাকিদের বাড়িতে। বিদেশে থাকাকালীন জোনাকি ও তার মা হাবিবের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় অর্ধকোটি টাকা।
জোনাকিদের বাড়িতে থাকাকালিন সময়ে একরাতে জোনাকি তার মা সহ কয়েক মিলে হাবিব কে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে হাবিব কে হত্যার চেষ্টা করে। এই সময় জোনাকি হাবিবের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। তারপর তারা ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজনদের মাধ্যমে হাবিবের পরিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিব কে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাবিব কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এই ঘটনায় হাবিবের বাবা রাষ্ট্র মিয়া বাদি হয়ে মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নামে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৭। এই মামলায় পুলিশ গত বছরের ১৩ অক্টোবর জোনাকি ও তার মা সালমা বেগম ওরফে বকুলকে গ্রেফতার করে।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তিকে বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা পয়সা নিয়ে বিদেশ না পাঠানোর ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ গত ঈদের কয়েকদিন আগে জোনাকি ও সালমা বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস জোনাকি ও তার মা সালমা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন হাবিব মিয়া।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, জোনাকি ও তার মাকে একটি মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করে। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।